অ্যামনেস্টির অনাসৃষ্টি : সাধু সাবধান
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বক্তব্য ও একটি প্রতিবেদন নিয়ে সমগ্র দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে টিআইবি তাদের প্রতিবেদনে জনগণের নির্বাচিত সার্বভৌম জাতীয় সংসদ নিয়ে কুৎসিত মন্তব্য করেছে। তারা জাতীয় সংসদকে ‘পুতুল নাচের নাট্যশালা’ বলা কেবল ঔদ্ধত্যপূর্ণই নয়, গণতন্ত্র ও সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে কতগুলো মনগড়া ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অভিযোগ, যা সাধারণত বিএনপি-জামাত জোট করে থাকে, তারই প্রতিধ্বনী। অ্যামনেস্টি তাদের অধিকারের সীমা লঙ্ঘন করে অবিলম্বে জাতীয় সংসদের নির্বাচন দাবি করে কার্যত বিএনপি-জামাতের মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে। দেশবাসীর জিজ্ঞাসা, অ্যামনেস্টি কী বিএনপির অঙ্গ সংগঠন? হঠাৎ তারা কেন এই সময়টিকে, এই ধরনের বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বেছে নিল? তা হলে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বিদেশি হত্যা, তাজিয়া মিছিলে হামলা, প্রকাশক দীপন হত্যা ও প্রকাশকদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার ভেতর দিয়ে বাংলাদেশে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে, অ্যামনেস্টি কী সেই ষড়যন্ত্রের গোপন অংশীদার? অ্যামনেস্টি এ রকম ঔদ্ধত্যপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ ও মন্তব্য করার সাহস কোথায় পায়? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অতীত ভূমিকা তো প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার প্রতিবাদ না করে, মুক্তিযুদ্ধকে ‘গৃহযুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল, এই অ্যামনেস্টি। অ্যামনেস্টি যে বিশেষ বিশেষ মহলের স্বার্থ রক্ষা করছে, এ কথা আজ দিবালোকের মতোই স্পষ্ট। বাংলাদেশের সচেতন মানুষ বিদেশি প্রভুদের অর্থায়নে পরিচালিত এবং তাদের স্বার্থ রক্ষাকারী অ্যামনেস্টির ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হবে না। বরং গণতন্ত্র সমুন্নত রেখেই তাদের সমুচিত জবাব দেবে। অ্যামনেস্টি অনাসৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। অতএব সাধু সাবধান।