আক্কু চৌধুরী : একাত্তরের চিরসবুজ ধারকমুদ্রা
তাঁর কাগুজে নাম হোসেন আখতার চৌধুরী হলেও আক্কু চৌধুরী নামেই পরিচিত তিনি; একজন মুক্তিযোদ্ধা, একাত্তরের চিরসবুজ ধারকমুদ্রা। ১৯৫২ সালের ২৩ অক্টোবর ঢাকার তৎকালীন মিডফোর্ড হসপিটালে মাতা হোসনে আরা মাক্কি এবং পিতা সাবের আহমেদ চৌধুরীর ঘর আলো করে পৃথিবীর আলোয় উদ্ভাসিত হন। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি চার নম্বর, বাল্যকাল থেকেই ছিলেন ডানপিটে এবং খামখেয়ালীপনায় অভ্যস্ত। পিতার চাকুরিসূত্রে পড়াশুনা শুরু করেন চট্টগ্রামের একটি কনভেন্ট স্কুল থেকে, এরপর ঢাকার ধানমন্ডির ইংলিশ মিডিয়াম এলিয়র মিডল স্কুল শেষ করে আদমজী ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কলেজ শাখায় ভর্তি হওয়ার পরপরই শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ; ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক পটভূমিকায় পৃথিবীর আলোয় উদ্ভাসিত তরুণ আক্কু চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তির সংগ্রামে।
মুক্তিযুদ্ধ শেষে তিনি পড়াশুনার জন্য স্বাধীন বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে মায়ের কাছে জেনেভাতে চলে যান, ওখানে কিছুদিন থেকে লন্ডনে চলে যান, সেখানে তিনি ম্যানচেস্টার পলিটেকনিক কলেজে ভর্তি হন, সেখানে কিছুদিন পড়ার পরে বোহেমিয়ান আক্কু চলে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে, সেখানে তিনি ভর্তি হন প্যাসিফিক স্টেট ইউনিভার্সিটিতে; সেখান পড়াশুনা শেষ করেন তিনি।
শুধু মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেই নিজের কাজগুলো শেষ করেননি তিনি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের জন্য ছড়িয়ে দেওয়ার অভিপ্রায়ে অন্যান্যদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর; সেই সাথে বাংলাদেশের তারুণ্যনির্ভর মুক্তিযুদ্ধ-ভিত্তিক সকল আয়োজনে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ব্যক্তিজীবনে বর্তমানে তিনি একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষব্যক্তি হিসেবে কর্মজীবন অতিবাহিত করছেন; এক সন্তানের গর্বিত জনক তিনি।
কৈশরে পা দিয়েই অস্ত্র হাতে মুক্তির সংগ্রামে:
উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও পরিবারের বাধা সত্ত্বেও তাঁর যুদ্ধে যাওয়ার গল্পও অন্যরকম; তাঁর মা, তাঁকে এবং তাঁর ছোট বোনকে নিয়ে সুইজারল্যান্ডে চলে যেতে চেয়েছিলেন, পাসপোর্ট-ভিসা সব ঠিক কিন্তু তিনি বেঁকে বসলেন তিনি, ‘আমি যুদ্ধে যাবো।’ নিরুপায় হয়ে তাঁর মা বললেন, ‘ওকে যেতে চাও যাও, তবে একটা দিতে হবে আমাকে, যুদ্ধ শেষে তোমার পড়াশুনা শেষ করতে হবে।’ বলছিলেন আক্কু চৌধুরী।
৮ নম্বর সেক্টরে সমরাস্ত্রের ট্রেনিং নেওয়ার পরে, ৯ নম্বর সেক্টরের তরুণ যোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন তিনি, সাতক্ষীরা-খুলনা অঞ্চলে লেফটেন্যান্ট আহহসানউল্লাহর অধীনে গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনগুলোতে অংশগ্রহণ করেন আক্কু চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের ত্যাগের কথা বলতে গিয়ে আক্কু চৌধুরী স্মরণ করেন, সেই সময়ে রাতের আলো নিভিয়ে পরম তৃপ্তি নিয়ে বাসি ভাত খাওয়ার কথা, পোকা-মাকড় কিংবা পাথরকণা যাতে দাঁতের নিচে না পড়ে তার জন্য ভাত পানি দিয়ে গিলে খেতেন, তখন একটাই স্বপ্নে বিভোর ছিলেন তারা, লাল-সবুজের পতাকা! মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিব্রতকর একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার সবচেয়ে কষ্ট লাগে সেই সময়ে আমার ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ার কারণে বাঙলা উচ্চারণ ভাঙা ভাঙা হওয়াতে কয়েক দফায় সন্দেহের চোখে পড়তে হয়েছে আমি বাঙালি কিনা! পরবর্তীতে তাঁদের ভুল ভেঙেছে আমার সহযোদ্ধাদের সহযোগিতার জন্য।
মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে আনন্দঘন মুহূর্তের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ডিসেম্বরের ১৪ কিংবা ১৫ তারিখে আমি, আমার সহযোদ্ধা আরিফসহ আরো কয়েকজন যোদ্ধা একটি বাঙ্কারে অবস্থানকালীন সময়ে সাব-সেক্টর কমান্ডারের রেডিও মারফত শুনতে পারি মানেকশ’র কণ্ঠে পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের প্রস্তুতির ঘোষণা, ওই মুহূর্তে আমাদের সামনে যে শত্রু তা ভুলে গিয়ে বিজয়ের স্লোগান ‘জয় বাঙলা’ বলে আমরা চিৎকার করে উঠি। সাথে সাথে আমাদের কমান্ডার আমাদের উচ্চস্বরে চিৎকার করতে বারণ করেন; সেই মুহূর্তে আমার শরীরে অন্যরকম এক শিহরণ অনুভব করি, মনে হচ্ছিলো আমার মা বিপদমুক্ত।” কথাগুলো বলতে বলতে তাঁর কণ্ঠ ভারি হয়ে আসে, চোখের কোণে জল চিক্ চিক্ করে।
যুদ্ধ শেষে মায়ের কোলে ফেরা:
যুদ্ধ শেষে যখন মায়ের ফিরে কোলে আসেন সেই দিনটি লাল-সবুজের মাকে সবচেয়ে খুশী মনে দেখেছিলেন, পৃথিবী জয় করা মায়ের হাসি সেদিন তাঁকে নতুন উদ্যোমে গড়ে তোলে অনন্য মানুষ হিসেবে; আজন্ম এই তারুণ্যনির্ভর সংগ্রামী আক্কু চৌধুরী সেদিন স্বাধীন মায়ের কোলে ফেরার আনন্দে মায়ের বুকে মুখ লুকিয়ে কেঁদেছিলেন, এই কান্না যুদ্ধজয়ের কান্না, লাল-সবুজের মাকে মুক্ত করার আনন্দময় কান্না। কিন্তু তাঁর ঢাকার নাখালপাড়ার বাড়ি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা দখল করে টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করার ফলে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধ শেষে তিনি পড়াশুনার জন্য স্বাধীন বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে মায়ের কাছে জেনেভাতে চলে যান, ওখানে কিছুদিন থেকে লন্ডনে চলে যান, সেখানে তিনি ম্যানচেস্টার পলিটেকনিক কলেজে ভর্তি হন, সেখানে কিছুদিন পড়ার পরে বোহেমিয়ান আক্কু চলে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে, সেখানে তিনি ভর্তি প্যাসিফিক স্টেট ইউনিভার্সিটিতে; সেখান পড়াশুনা শেষ করেন তিনি।
কর্পোরেট কর্মকর্তা থেকে কৃষক আক্কু চৌধুরী:
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি যোগদান করেন লসএ্যাঞ্জেলসের বিখ্যাত এন্টিক সংগ্রহশালা ‘জাইটলিন পাবলিকেশন্স’-এর কর্মকর্তা হিসেবে; এরপর লসএ্যাঞ্জেলসের জুয়েলারি বিক্রয় প্রতিষ্ঠান লিডিং জুয়েলার্স লিমিডেট-এ। এরপর তিনি ১৯৮২ সালের জুন মাসে ইউরোপ হয়ে ফিরে আসেন বাংলাদেশে। বাংলাদেশে ফিরে এসে এক বন্ধুর জমি ধার নিয়ে সাভারে শাক-সবজি উৎপাদনকারী হিসেবে কৃষিকাজ শুরু করেন, কর্পোরেট আক্কু চৌধুরী হয়ে যান বাঙালির নিপাট কৃষক আক্কু চৌধুরী। তাঁর তখনকার পাসপোর্টেও পেশা হিসেবে উল্লেখ ছিলো ‘কৃষক’। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সেই সময়ে কৃষক হিসেবে চেষ্টা করেছি সরাসরি শাক-সবজি বিপণনে যেতে, মাঠ থেকে সবজি তুলে সরাসরি কাওরান বাজারের আড়তে বিক্রি করার চেষ্টা করি, কিন্তু সেখানে প্রাইজ কন্ট্রোলের চক্করে আমি সর্বশান্ত হয়ে; চরম দূরাবস্থার কথা। আমি মানসিক এবং আর্থিকভাবে নিঃশ্ব হয়ে যাই।’
এরপরে তিনি ১৯৮৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে আধুনিক ফার্নিচার ডিজাইন ও প্রস্তুত করার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, ছোট্ট সেই প্রতিষ্ঠানটি ফার্নিচারের জগতে ‘ক্রিয়েটিভ সেন্টার’ নামে পরিচিত ছিলো। প্রথম শো-রুম ছিলো ফার্মগেটের জাহানারা গার্ডেনে। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত তিনি ফার্নিচারের ব্যবসা করেন; এর মধ্যে ১৯৮৬ সালে ইতালিয়ান বিখ্যাত চেইন রেস্টুরেন্ট ‘ডলচেভিটা’ বাংলাদেশে শুরু করেন ঢাকার বনানীতে। এরপরে ১৯৮৮ সালে তিনি বনানীতেই তিনি শুরু করেন ‘লা গ্যালারি’ নামের চিত্র প্রদর্শনী ও বিপণন প্রতিষ্ঠান। তারপরে তিনি ১৯৮৮ সালেই শুরু করেন আইসক্রিম বিপণন প্রতিষ্ঠান, ‘ডলচেভিটা জেলাটো’; এই প্রতিষ্ঠানেই সেই সময়ে তিনি মুক্তযুদ্ধ-ভিত্তিক বই বিশেষ ছাড়ে বিপণনের ব্যবস্থা করেন এবং এই প্রতিষ্ঠানটিতেই একটি বিশেষ সতর্কবার্তা ছিলো, ‘কুকুর এবং রাজাকারের প্রবেশ নিষেধ’। তাঁর বর্তমান কর্মজীবন ট্রান্সকম ফুডস্ লিমিটেডের হেড অব অপারেশনস্ এবং পিৎজা হাট ও কেএফসি’র প্রধান হিসেবে।
লড়াই যখন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর:
শহিদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক-দালালদের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন শুরু হয় সেই আন্দোলনেরও একজন অন্যতম সহযোদ্ধা হিসেবে তিনি শহিদ জননীর পাশে ছিলেন, ওই সময়েই তিনি অনুভব করতে থাকেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য একটি সংগ্রহশালার প্রয়োজনীয়তা; সেই থেকেই শুরু ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ নিয়ে ভাবনা।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পটভূমি সম্পর্কে আক্কু চৌধুরী বলেন, “১৯৯৪ সালে প্রথমে আমি আছাদুজ্জামান নূরের সাথে আলোচনা করি, তারপরে সে অন্যান্যদের সাথে আলোচনা করার পরে আমার পুরাতন ডিওএইচএস-এর বাড়িতে সবাইকে নিয়ে আমরা কয়েক দফা মিটিং করি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, আছাদুজ্জামান নূর, ডা. সারোয়ার আলী, আলী যাকের, সারা যাকের, মফিদুল হক, রবিউল হুসেইন এবং জিয়াউদ্দিন তারিক আলী; সেই মিটিংয়েই ডা. সারোয়ার আলী বলেন, ‘যদি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর করো, তাহলে আমি তোমাদের সাথে আছি।’ সেই থেকেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের যাত্রা শুরুর প্রস্তুতি। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৫ সালের জুন মাসে সেগুন বাগিচায় বাড়ি ভাড়া নেওয়ার মাধ্যমে আমরা শুরু করি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কার্যক্রম। তারপরে জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টিরা মিলে বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিষ্ঠান, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং অন্যান্য পেশাজীবীদের সাথে জাদুঘরের প্রকল্প নিয়ে আলাপ-আলোচনা করি। সেই সাথে আমরা বিভিন্ন জেলাগুলো ভ্রমণ করি মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রি এবং জাদুঘরের জন্য সহযোগিতার জন্য, আমরা খুই আশ্চর্য হই আমাদের এই উদ্যোগের সাথে সর্বোস্তরের মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারে সদস্যরা যেভাবে এগিয়ে আসে তা অকল্পনীয় ছিলো। একটি ঘটনা বলি, আমরা খুলনাতে যাওয়ার পরে তৎকালীন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের আয়োজনে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি জাদুঘর বিষয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠান করি, সেই আলোচনা অনুষ্ঠানের পরে দেখি এক মুক্তিযোদ্ধা তাঁর হাতে একটি প্যাকেট নিয়ে বসে আছে, সে আমাকে বললো তাঁর নাম মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং সে পহেলা মার্চ থেকেই পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে খুলনার স্থানীয় ছেলেদেরকে ট্রেনিং দিয়ে যাচ্ছিলেন, সে বিট্রিশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ছিলেন; তারপরে মার্চের শেষের দিকে যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা দখল করে নেয় খুলনা-যশোর এলাকা, তখন সেনাবাহিনী কর্তৃক তাঁর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করা হয়, তাঁর মাথার দাম ধরা হয় এক লক্ষ টাকা। তাঁকে খুঁজে না পেয়ে তাঁর বাড়িতে পাকিস্তানিরা হামলা করে, তাঁর স্ত্রীর কোলে থাকা তাঁর শিশুকন্যা ‘রেহানা’কে কোল থেকে নিয়ে মাটিতে আঁছড়ে মেরে ফেলে; শিশুকন্যার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বুট দিয়ে পিষে মারা হয়। সেদিন আবদুস সালাম তাঁর শিশুকন্যার সংগ্রহ করা জামাটি নিয়ে এসেছিলেন, যদি কোনোদিন কেউ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর তৈরি করে তাতে তিনি প্রদর্শনের জামাটি দেবেন; শিশুকন্যা ‘রেহানা’র এই জামাটির মধ্যেই সেদিন আমি বাংলাদেশকে দেখেছিলাম। আমাদের এই চলার পথে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনার কাছ থেকেও সহযোগিতা পেয়েছি। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের ভালোবাসা নিয়েই এভাবে আমাদের যাত্রা শুরু; আমরা এগিয়ে যেতে থাকি আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে। আজ মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় নিজস্ব জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, আমাদের চলমান সংগ্রামের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের আস্থার সংগ্রহশালায় পরিণত হয়েছে।”
আক্কু চৌধুরী : একাত্তরের চিরসবুজ ধারকমুদ্রা:
মুক্তিযুদ্ধ এবং তারুণ্য নিয়েই তাঁর চলমান পথচলা, তিনি মনে করেন তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশের একমাত্র ভরসাস্থল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ মক্তিযোদ্ধাদের কষ্ট বোঝে না, মুক্তিযোদ্ধাদের আবেগ-অনুভূতি মেশানো আমাদের ভরসার স্থান শেখ হাসিনা। একাত্তরের সেইসব গণহত্যাকারী যুদ্ধাপরাধীদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করার সাহস শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ দেখাতে পারতো না। আমি বিশ্বাস করি আমাদের বাংলাদেশকে জল্লাদমুক্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে; একমাত্র তরুণ প্রজন্মই পারে এই চলমান যুদ্ধের সহযোদ্ধা হতে। জয় বাঙলা, জয় বঙ্গবন্ধু; জয় একাত্তর, জয় হাসিনা, জয় মানুষ।’