চীন থেকে ‘কিট’ আনবে বিমান বাহিনী
চীন থেকে করোনা ভাইরাস শনাক্তকারী কিট ও পিপিইসহ চিকিৎসা সামগ্রী আনবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সি-১৩০জে পরিবহন বিমান।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) এই উদ্দেশ্যে বিমানটি চীনের উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, এই বিমানের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চীন থেকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা সহায়ক দ্রব্যাদি সংগ্রহের জন্য শুক্রবার বিমান বাহিনীর ১৬ জন এয়ার ক্রু চীনের উদ্দেশে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক শাহ আমানত বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার কমোডর মো. জাহিদুর রহমান, জিডি (পি) দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সি-১৩০জে বিমানটি চীন যাত্রার উদ্দেশে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু, ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম পৌঁছায়। মিশন সম্পন্ন করার জন্য বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকল্পে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী চীন সরকারের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সে দেশ থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় কিট, এন-৯৫ মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক, ইলেকট্রিক থার্মোমিটার, মেডিক্যাল সেফটি গ্লাভস, প্রটেক্টিভ গ্লাভস, গগলস এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা (পিপিই)-সহ চিকিৎসা সহায়ক সামগ্রী সংগ্রহের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকল্পে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বিমান বাহিনী জরুরি বিমান পরিবহন এবং মেডিকেল ইভাকোয়েশন সহায়তা দিচ্ছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় গণচীন সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ এবং প্রাদুর্ভাব রোধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অকৃত্রিম সহায়তার জন্য বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ চীনের সশস্ত্র বাহিনী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কিছু সামগ্রী, যেমন- হস্ত ও কুটির শিল্প জাতীয় উপহার সামগ্রী বিমান বাহিনীর ওই পরিবহনে চীনে পাঠানো হয়।
চিকিৎসা সামগ্রীসহ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সি-১৩০জে বিমানটি ১৮ এপ্রিল দেশে ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।