জিহাদ
আরবি জিহাদ শব্দটি ‘জহদ’ ধাতু হতে উৎপন্ন। ক্রিয়াপদে ‘জহদ’ অর্থ চেষ্টা করা/করিল এবং পরিশ্রম করা/করিল। আর ‘জাহদ’ অর্থ সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা, অধ্যবসায় সহকারে কাজ ও সংগ্রাম করা/করিল। ব্যুৎপত্তিগতভাবে ‘জিহাদ’ শব্দের সাথে অস্ত্র বা যুদ্ধ অবিচ্ছেদ্য অথবা সমার্থক নয়।
জিহাদ শব্দটির রয়েছে বহুমাত্রিক অর্থ ব্যঞ্জনা। Dictionary of Islam (Thomas Patrick Hughes, Page-243 ) কোষ গ্রন্থে Jihad-এর অর্থ করা হয়েছে ‘An effort or a striving.’
কেউ কেউ অবশ্য ‘জিহাদ’কে ধর্মযুদ্ধের সমার্থক বলে ব্যাখ্যা করেছেন। ‘ধর্মযুদ্ধ’ প্রত্যয়টিকেও তার পরিপ্রেক্ষিত থেকে বিচ্ছিন্ন করে যারা আক্ষরিক অর্থে ব্যাখ্যা করেন, তারা ‘ধর্মযুদ্ধের’ স্বরূপ ও ‘জিহাদের’ অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বুঝতে অক্ষম বলে অনেক ইসলামি প-িত মনে করেন।
জিহাদের বিকৃত এবং খ-িত ব্যাখ্যা বিশ্বব্যাপী মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী উত্থানের যেমন অন্যতম অনুঘটক, তেমনি শান্তির ধর্ম ইসলামকে অসহিষ্ণু, রক্তপাত এবং অশান্তির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করার অপপ্রয়াস বলে মনে করা হয়। পবিত্র কোরআনে শক্তি প্রয়োগ বোঝাতে ভিন্ন ভিন্ন শব্দ রয়েছে। কোরআনে ব্যবহৃত ‘জিহাদ’ অর্থ যথাসাধ্য পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও ত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহর আদিষ্ট জীবন-পন্থা অনুসরণ করাই বুঝতে হবে। (সংক্ষিপ্ত ইসলামি বিশ্বকোষ, ১ম খ-, পৃষ্ঠা-৪০৩)।
পবিত্র কোরআন শরিফে অনন্ত ২৩ বার জিহাদ শব্দের উল্লেখ রয়েছে।
হজরত মোহাম্মদ (স.)-এর জীবিতকালে আরব উপদ্বীপে যেসব ইসলাম-বিদ্বেষী ভিন্নধর্মী, পৌত্তলিক এবং গোত্র ইসলাম ধর্ম প্রচারে বাধা দিয়েছে অথবা নবদীক্ষিত মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য সশস্ত্র আক্রমণ করেছে, তাদের হাত থেকে আত্মরক্ষা করা এবং ইসলাম ধর্মকে সুরক্ষার জন্য বিশ্বাসীদের প্রতি জিহাদের আহ্বান জানানো হয়। এই জিহাদে যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণ করে তাদের বলা হয় মুজাহিদ। কিন্তু মহানবী হজরত মোহাম্মদ (স.)-এর মতে, এটা হচ্ছে ‘ছোট জিহাদ’।
মনে রাখতে হবে, হজরত মোহাম্মদ (স.)-এর মদিনায় আগমনের (হিজরত) পরই কেবল প্রথম ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু কোরআনের বিভিন্ন সুরা ও আয়াত নাজেল হতে শুরু হয় হজরত মোহাম্মদ (স.) মক্কায় থাকতেই। মক্কায় যেসব সুরা প্রত্যাদেশ রূপে অবতীর্ণ বা নাজেল হয়, পবিত্র কোরআনের সেসব সুরাকে বলা হয় মক্কী সুরা। মক্কায় অবতীর্ণ আয়াতে, যেখানে জিহাদের উল্লেখ আছে, সেখানে কাফেরদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ অর্থে এই শব্দের ব্যবহার হয়নি। মানুষের ভিতরের অসৎ চিন্তা, হিংসা-বিদ্বেষ ও পশু প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে সচেতন সংগ্রাম এবং সৎকর্ম সাধন, অধ্যবসায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও নৈকট্য লাভের চেষ্টাকেই ‘বড় জিহাদ’ বলা হয়েছে।
এক যুদ্ধ অভিযান থেকে ফিরে এসে হজরত মোহাম্মদ (স.) বলেছিলেন, ‘আমরা ছোট জিহাদ (অস্ত্রযুদ্ধ) থেকে এখন বড় জিহাদে (প্রবৃত্তির সাথে যুদ্ধে) ফিরে এসেছি।’ কোরআন শরিফে বলা হয়েছে, ‘তোমরা কাফিরদের আনুগত্য করিও না, বরং ইহার (কোরআনের) সাহায্যে তাহাদের সহিত বড় জেহাদ করিয়া যাও’ (২৫:৫২)। এখানে উল্লিখিত জিহাদের অস্ত্র কোরআনে বিবৃত যুক্তি ও প্রজ্ঞা; এই অর্থে জিহাদ শব্দের ব্যবহারও লক্ষণীয় : ‘তোমরা প্রভুর পথের দিকে আহ্বান কর প্রজ্ঞা ও সদুপদেশের মাধ্যমে এবং প্রকৃষ্টতর উপায়ে তাদের সাথে বিতর্ক কর’ (১৬:২৫)।
জিহাদ যে একটি বহুমাত্রিক প্রত্যয় তা আরও স্পষ্ট হয় বিভিন্ন হাদিস থেকে। হজরত মোহাম্মদ (স.) বলেছেন, ‘অত্যাচারী শাসকের মুখের ওপর হক-কথা বলা কঠিনতম জিহাদ-তিরমিজি। অন্য এক হাদিসে আছে : “এক ব্যক্তি রাসুলাল্লাহ (স.)-এর নিকট আসিয়া জেহাদের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করিল। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন : তোমার মাতা-পিতা জীবিত আছেন? সে বলিল : হ্যাঁ, আছেন। তিনি বলিলেন : তবে তাহাদের সম্বন্ধে জেহাদ করÑ অর্থাৎ তোমার পিতা-মাতার নিকট ফিরিয়া যাও এবং তাহাদের সহিত উত্তম ব্যবহার কর।” বর্ণনা করেছেন হজরত আবদুল্লাহ বিন আমর (বোখারি, মোসলেমÑ সংক্ষিপ্ত ইসলামি বিশ্বকোষ দ্রষ্টব্য)।
কোরআনে কাফেরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের অনুমতি বা নির্দেশের ক্ষেত্রে সাধারণত ‘কিতাল’ শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। যেমনÑ যাহারা ঈমান আনে তাহারা আল্লাহর নামে যুদ্ধ করে (কাতেলুন); যাহারা কুফরের পক্ষাবলম্বন করে তাহারা ‘তাগুত’ অর্থাৎ আল্লাহ-বিরোধী শক্তির পক্ষে যুদ্ধ করে। সুতরাং, যুদ্ধ কর শয়তানের বন্ধুগণের বিরুদ্ধে (৪:৭৬)। কোরআনে সর্বপ্রথম যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হয়েছে যে আয়াতে সেখানেও ‘জিহাদ’ শব্দ ব্যবহার করা হয় নি, ব্যবহৃত হয়েছে ‘কিতাল’ শব্দ (২২:৩৯)। সুরা হজের ৩৯ আয়াতে বলা হয়েছে : ‘যাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হইতেছে তাহাদিগকে (আত্মরক্ষার্থে যুদ্ধ করিবার) অনুমতি দেওয়া হইল, কারণ তাহাদের ওপর জুলুম করা হইতেছে এবং নিশ্চয় আল্লাহ তাহাদিগকে সাহায্য করিতে পূর্ণ ক্ষমতাবান।’ যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট আয়াতগুলোতে ‘কিতাল’ ও ‘কাতল’Ñ এ দুটি শব্দের ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষণীয়। এমনকি অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধ সংক্রান্ত আলোচনায় ‘অভিযান’ ‘বহির্গমন’ ইত্যাদি শব্দের উল্লেখ আছে। জিহাদ নেই (৯:৩৮, ৩৯, ৪২)।
হজরত মোহাম্মদ (স.) যেসব যুদ্ধ অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাকে ‘গাজওয়া’ আখ্যা দেওয়া হয়। গাজওয়া থেকে ‘গাজি’ শব্দ এসেছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, বিধর্মী বা কাফেরদের বিরুদ্ধে সকল যুদ্ধকেই ‘জিহাদ’ বলা হয়নি। জিহাদের প্রকৃত মর্মবাণী হচ্ছে বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষের ভেতরের লোভ, লালসা, হিংসা, বিদ্বেষ, পাশবিক প্রবৃত্তি এবং দুর্বলতা থেকে নিজেকে মুক্ত করা, শুদ্ধ করা এবং উচ্চতর নৈতিক গুণাবলী অর্জন করার জন্য নিরন্তর আত্মসংগ্রাম। এই জিহাদ হচ্ছে নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সংগ্রাম। এই জিহাদ হচ্ছে আত্মশুদ্ধির সংগ্রাম। এই জিহাদ হচ্ছে অহিংস, শান্তিপূর্ণ এবং ¯্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনের সর্বশ্রেষ্ঠ পথ।
ইসলামের ইতিহাসের অপব্যাখ্যাকারী এবং ক্ষমতালিপ্সু কোনো শাসক নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্যে জিহাদের বিকৃত ব্যাখ্যা করেছেন। খোলফায়ে রাশেদীন-এর সময় অথবা পরবর্তীকালে মুসলমানদের সা¤্রাজ্য বিস্তারের সময় অসংখ্য যুদ্ধ-বিগ্রহ হয়েছে। এসব যুদ্ধ যেমন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী জনপদের শাসকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে, তেমনি এক মুসলমান শাসক অন্য মুসলমান শাসকের বিরুদ্ধে রক্তাক্ত যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। ইসলামের ইতিহাসে এর কোনোটিকেই ‘ধর্মযুদ্ধ’ বা ‘জিহাদ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। তবে কোনো কোনো ধর্মান্ধ বা মতলববাজ মুসলিম রাজা-বাদশা বা উচ্চাকাক্সক্ষী যুদ্ধবাজ সামরিক নেতা অন্য রাষ্ট্র দখলে তার অধীনস্ত সৈনিকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য, যুদ্ধের ব্যয় মিটানোর উদ্দেশ্যে প্রজাদের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য এবং আক্রমণকারী হিসেবে অন্যায়যুদ্ধকে ‘ন্যায়যুদ্ধ’ হিসেবে বৈধতা দান করার জন্য ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে পরিচালিত যুদ্ধকে ‘জিহাদ’ হিসেবে চালাবার চেষ্টা করেছে।
যেমনটি করেছে ইউরোপের আক্রমণকারী খ্রিস্টান শাসকরা। তারা জেরুজালেম দখল এবং মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়া মাইনরের মুসলিম শাসিত রাজ্যগুলো দখল করার জন্য ২০০ বছর ব্যাপী পরিচালিত যুদ্ধকে ‘ক্রুসেড’ বা ‘ধর্মযুদ্ধ’ আখ্যা দিয়েছিল। এই ২০০ বছরের ক্রুসেডের বিরুদ্ধে একবার মাত্র সুলতান সালাহউদ্দিন জিহাদের ডাক দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার জিহাদের ব্যাপক ব্যবহার হয় সতের শতকের শেষ দিকে, পশ্চিম আফ্রিকায় সেনেগাম্বিয়া অঞ্চলে। দাস ব্যবসার বিরুদ্ধে সুফি নেতাদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই জিহাদ (১৬৭৭) সপ্তদশ শতকে এসে, ৮০ বছর পর উল্টো প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে দাস সংগ্রহের হিংসাত্মক যুদ্ধে পরিণত হয়। তৃতীয়বার জিহাদের ডাক দেন ওয়াহাবি মতবাদের প্রবক্তা মুহাম্মদ ইবন আবদুল ওয়াহাব (১৭০৩-১৭৯২)। সশস্ত্র সংগ্রাম হিসেবে চতুর্থবার জিহাদ ঘটেছিল সুদানে। সেখানকার উপনিবেশ-বিরোধী নেতা মহম্মদ আহমেদ (১৮৪৪-১৮৮৫) নিজেকে আল মাহাদি বা ত্রাণকর্তা হিসেবে ঘোষণা করে তুর্কি-মিসরীয় শাসকদের বিরুদ্ধে সুদানের মানুষকে লড়াইয়ের ডাক দেন। এ ছাড়া আরও কিছু ছোটখাটো জিহাদের চেষ্টা হলেও গত শতাব্দীর আশির দশকে আফগানযুদ্ধকে কেন্দ্র করেই সর্বশেষ ‘জিহাদের’ আওয়াজ শোনা যায়। এই জিহাদের ভাবাদর্শগত নেতা হলেন সৌদি আরবের বাসিন্দা বিন লাদেন ও তার আল-কায়দা সংগঠন। আফগানিস্তানের তালিবান (অর্থ ছাত্র) শাসকরা জিহাদের অধ্যাত্ম চেতনাকে হিংসা ও সন্ত্রাস দিয়ে প্রতিস্থাপিত করে। তালিবানদের পৃষ্ঠপোষক ছিল পাকিস্তান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পরে মার্কিনীরা তালিবান শাসন উৎখাত করে।
সমকালীন বিশ্বে জিহাদের হিং¯্রাশ্রয়ী বিকৃত ব্যাখ্যার উৎস হচ্ছে অষ্টাদশ শতকের আরব-উপদ্বীপের ওয়াহাবি মতবাদ। ওয়াহাবি মতে, ১৪০০ বছর আগের মূলানুগ ইসলামে ফিরে যাওয়া, আক্ষরিক অর্থে কঠোরভাবে শরিয়া আইন মেনে চলা, ভিন্নমতাবলম্বীদের (মুসলমান হলেও) নিশ্চিহ্ন করা, সর্বোপরি সর্বপ্রকার কুফরি মতবাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র ধর্মযুদ্ধ বা জিহাদ করা সুন্নী মতাবলম্বী সকল মুসলমানের জন্য ফরজ। ওয়াহাবি মতানুসারে ‘শিয়া’ মতবাদ ইসলাম বিরুদ্ধ এবং দুশমন।
ওয়াহাবি মতবাদেরই আধুনিক সংস্করণ হচ্ছে মওদুদী মতবাদ এবং মিসরের হাসান আল বান্না ও সাঈদ কুতুব (মিসরে গত শতাব্দীতে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা দুজনকেই ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মৃত্যুদ- দেয় মিসর সরকার)। উপমহাদেশে ১৯৪১ সালে জামায়াতে ইসলামি হিন্দ্ প্রতিষ্ঠা করে এই মৌলবাদী মতবাদকে রাজনৈতিক সংগ্রামের হাতিয়ারে পরিণত করেন মওলানা আবুল আলা মওদুদী। জামাত ও মওদুদী ১৯৫৩ সালে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উসকানি দিয়ে বিপুল সংখ্যক কাদিয়ানিকে হত্যা করে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশেও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে জামায়াতে ইসলামি গণহত্যা ও বুদ্ধিজীবী হত্যা সংঘটিত করে। জামায়াতে ইসলামি জিহাদের বিকৃত ব্যাখ্যা করে বর্তমানেও তরুণদের হত্যা-সন্ত্রাসে সংগঠিত করছে। ব্রিটেনে গঠিত হিযবুত তাহরীর বর্তমানে বিশ্বব্যাপী শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে জিহাদের আহ্বান নিয়ে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকা-ে সংগঠিত করছে।
মধ্যপ্রাচ্যে আইএস, আফ্রিকায় বোকাহেরু এবং পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ প্রভৃতি দেশে নানা নামে গঠিত জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো ‘জিহাদের’ নামে রক্তপাত ও সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনা করছে। কিন্তু এরা সবাই জিহাদের মর্মবাণীর বিকৃত ও খ-িত ব্যাখ্যা হাজির করে বিশ্বব্যাপী বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। শান্তির ধর্ম ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করছে।
নূহ-উল-আলম লেনিন