দুটি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
গত ৬ সেপ্টেম্বর খুলনা শিপইয়ার্ডে নৌবাহিনীর জন্য দুটি বড় যুদ্ধজাহাজ লার্জ প্যাট্রোল ক্রাফট (এলপিসি) নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খুলনা শিপইয়ার্ড রুগ্্ণ ও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাওয়ায় আমি এটিকে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছিলাম। আজ এ প্রতিষ্ঠানটি গর্ব ও কর্মোদ্দীপনার প্রতীক হিসেবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুলনা শিপইয়ার্ড শ্রমবাজার বাঁচিয়ে রাখতে যে ভূমিকা রেখেছে, তা এ অঞ্চলের অন্যান্য রুগ্ণ শিল্প-কারখানাকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। তিনি বলেন, খুলনা শিপইয়ার্ড মাঝারি ও বৃহৎ সমুদ্রগামী জাহাজসহ নৌবাহিনীর জন্য ছোট-বড় নৌযান তৈরি ও মেরামত অব্যাহত রেখেছে। ভবিষ্যতে এই শিপইয়ার্ড থেকে জাহাজ তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৯ সালে যে উদ্দেশ্য নিয়ে খুলনা শিপইয়ার্ডকে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছিলাম, তা আজ চূড়ান্তভাবে সফল হয়েছে। ৫টি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের পর আজ অত্যাধুনিক লার্জ প্যাট্রোল ক্রাফট নির্মাণকাজ শুরু করে এ প্রতিষ্ঠানকে আরও শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড় করানো হলো। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের প্রযুক্তিগত সহায়তায় খুলনা শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ নৌবাহিনীর নৌ-কল্যাণ ফাউন্ডেশনের জন্য আধুনিক কন্টেইনার ভেসেল নির্মাণও এ ইয়ার্ড ক্রমবর্ধমান জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। পর্যায়ক্রমে খুলনা শিপইয়ার্ড জাহাজ রপ্তানি করতে সক্ষম হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার সূচনালগ্নেই নদী ও সমুদ্রের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন। এ কারণে নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার কাজে হাত দিয়েছিলেন।