দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়ক উদ্বোধন
ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বান্দরবানে দেশের ‘সবচেয়ে উঁচু’ সড়কসহ ৩টি সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ১৪ জুলাই গণভবন থেকে বিআইডব্লিউটিসির একটি জাহাজ ও দুটি ফেরিরও উদ্বোধন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব উন্নয়ন প্রকল্প জনগণের জন্য তার সরকারের ‘ঈদ উপহার’। এসব প্রকল্পের মধ্যে বান্দরবানের থানচি থেকে আলীকদম পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১৭ কোটি টাকা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় আড়াই হাজার ফুট উচ্চতায় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তৈরি এ সড়কটি দেশের সবচেয়ে উঁচুতে বলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে জানান। সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সবদিক দিয়েই মানুষের উন্নয়ন ‘ত্বরান্বিত হবে’ বলে ভিডিও কনফারেন্সে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির কথাও তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য পার্বত্য অঞ্চলের স্কুল-কলেজগুলোকে আবাসিক করে দেওয়া হবে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সরকারি স্কুল ও কলেজ করারও ঘোষণা দেন তিনি।
রংপুরে ১৬ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত
যানজট নিরসন, আন্তঃজেলা ও আন্তর্জাতিক যাতায়াত সহজ করতে রংপুর শহর ও শহর সংলগ্ন ১৬ কিলোমিটার রাস্তাকে চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে। গত ১৪ জুলাই গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ‘বিভাগীয় সদর রংপুরের সওজের সড়ক চার লেনে উন্নয়ন’ এ প্রকল্পটি শেষ করতে খরচ হয় ১২৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ১৬ দশমিক ২৪ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে রংপুর শহর অংশে ৮ দশমিক ২৪ কিলোমিটার এবং রংপুর বাইপাস অংশে ৮ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। বিভাগীয় শহর রংপুর উত্তরাঞ্চলের ৬টি জেলা দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের প্রবেশদ্বার। এ মহাসড়কটি ব্যবহার করে স্থলবন্দরগুলোর মাধ্যমে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি হয়ে থাকে।
যাত্রা শুরু করল এমভি মধুমতি
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে যাত্রা শুরু করল বিআইডব্লিউটিসির যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি মধুমতি। ১৪ জুলাই গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ জাহাজটির উদ্বোধন করেন। ইতোমধ্যে ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল-ঝালকাঠী-পিরোজপুর-হুলারহাট-মোড়েলগঞ্জ-মংলা ও খুলনা রুটে জাহাজটি চলাচল করছে। ৭৫০ যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজটি নির্মাণ করেছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৬ কোটি ৫৮ লাখ ৫২ হাজার ৮০০ টাকা। ৭৫ দশমিক ৫০ মিটার দৈর্ঘ্য, ১২ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থ, ৩ মিটার উচ্চতা ও ১ দশমিক ৬ মিটার গভীরতার জাহাজটির খালি অবস্থায় প্রায় ওজন ১ হাজার টন। ‘এমভি মধুমতি’ এবং ‘ভাষাসৈনিক গোলাম মাওলা রো রো ফেরি’ ও ‘কুসুমকলি’ ফেরির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিরুলিয়া সেতু এবং বিরুলিয়া-আশুলিয়া
মহাসড়কের উদ্বোধন
রাজধানীর পাশে তুরাগ নদীর ওপর বিরুলিয়া সেতু এবং বিরুলিয়া-আশুলিয়া মহাসড়কের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এ দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এই সেতু ও মহাসড়ক চালুর ফলে রাজধানীতে প্রবেশের নতুন আরেকটি রুট সংযোজিত হলো। নতুন এই রুট চালুর ফলে ঢাকায় প্রবেশ ও বহির্গমন রুটগুলোর ওপর চাপ কমবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে সড়ক ও জনপদ অধিদফত ৪৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বিরুলিয়া-আশুলিয়া মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেন। এ প্রকল্পের আওতায় ১৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার মহাসড়ক, ১৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে তুরাগ নদীর ওপর ১৮৬ দশমিক ৪ মিটার দীর্ঘ বিরুলিয়া সেতু এবং বিরুলিয়া খালের ওপর ৩৬ দশমিক ৬ মিটার দীর্ঘ আরেকটি সেতু নির্মাণ করা হয়।