দেশের সব শিশুর মাঝে হারানো ছোট ভাই রাসেলকে খুঁজে পাই
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গত ১৮ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদরের ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেলের ৫৩তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, শিশু সমাবেশ, কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যালি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
ওই দিন সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্ট নিহত শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, শেখ রাসেল শিশু সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন। পরে বনানী কবরস্থান মসজিদে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মিলাদে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
সকাল ১০টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শেখ রাসেলের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে বলেন, তোমরাই হলে দেশ ও জাতির আগামী দিনের কর্ণধার। তাই বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তোমাদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আর দেশের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। কেননা, যে কোনো মহৎ কাজ অর্জিত হয় ত্যাগের বিনিময়েই। বাংলাদেশ আজ যে পর্যায়ে এসেছে, এ পর্যায়ে আনতে অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা হচ্ছে, তা কেবল বর্তমান প্রজন্মের জন্য নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও। বাংলাদেশের একটি মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না। প্রতিটি শিশু স্কুলে যাবে, শিক্ষা পাবে, মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। সে ধরনের সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। ভবিষ্যৎ কা-ারি হিসেবে গড়ে উঠতে শিশুদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। পিতা-মাতা, অভিভাবক, শিক্ষকদের কথা শুনতে হবে। দেশ অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। এ যাত্রায় তোমাদেরই হাল ধরতে হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আবেগজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট যে ঘটনা ঘটেছে, তার সাথে একমাত্র কারবালার ঘটনার সাথেই তুলনা করা যায়। কারবালাতেও বোধহয় শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৫ আগস্ট একই সাথে ৩টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে শিশুদেরও হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে আইন করে খুনিদের বিচারের হাত থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন দেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে এ ধরনের ঘৃণ্য নজির আছে বলে আমার জানা নেই। ছোট ভাই সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আবেগাক্রান্ত বড় বোন শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সব শিশুর মাঝে হারানো ছোট ভাই রাসেলকে খুঁজে পাই। একটি প্রশ্নই বারবার জাগেÑ কী অপরাধ ছিল ছোট্ট রাসেলের যে এভাবে নৃশংস হত্যাকা-ের শিকার হতে হলো?
মাকে আব্বা বলে ডাকত রাসেল : ছোট ভাই রাসেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আবেগজড়িত স্মৃতিচারণে মিলনায়তনে উপস্থিত শত শত শিশু-কিশোরের চোখ বেয়ে পানি ঝরতে দেখা গেছে। পিনপতন নীরবতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জন্মের পর থেকে রাসেল বড় হয়েছে পিতা-মাতা, ভাই সবার ¯েœহ নিয়ে। কিন্তু কতটুকু পেয়েছে পিতৃ¯েœহ? তাকে বড় হতে হয়েছে পিতৃ¯েœহ থেকে বঞ্চিত হয়েই। ছোট্ট রাসেলকে পিতার ¯েœহবঞ্চিত হয়েই বড় হতে হয়েছে। যখনই আমরা কারাগারে যেতাম বাবাকে দেখতে, রাসেলকে নিয়ে আসা কঠিন ছিল। অনেক কষ্ট করে তাকে নিয়ে আসতে হতো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন রাসেল কথা বলতে শুরু করল সে বাবাকে খুঁজে বেড়াত। তখন মা তাকে বলত, আমিই তো তোমার বাবা। মাকে সে আব্বা বলেও ডাকত, মা বলেও ডাকত। তিনি বলেন, আবার আমরা যখন কারাগারে দেখতে যেতাম তখন অবুঝ হৃদয় বাবাকে আব্বা বলে ডাকত, আবার মাকে আব্বা বলে ডাকত। এভাবেই ছোট রাসেল বেড়ে উঠেছে। আমরা সবাই পিতৃ¯েœহ থেকে বঞ্চিত।
এ ছাড়াও শহীদ শেখ রাসেলের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সামনে যৌথভাবে শিশু সমাবেশের আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও স্মৃতি জাদুঘর। ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।
ওই দিন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির আয়োজনে শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী ‘শেখ রাসেল জাতীয় শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসব’। শিশুদের মাঝে মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে ছোটদের ছবি দেখার এই আয়োজন করা হয়। বড়দের পাশাপাশি ক্ষুদে নির্মাতাদের নির্মিত চলচ্চিত্রও ঠাঁই পায় এই উৎসবে। এগুলোর মধ্যে দেশে নির্মিত শিশুতোষ পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য, প্রামাণ্য ও অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র। সব মিলিয়ে উৎসবে প্রদর্শিত হয় ১৭টি চলচ্চিত্র। এই উৎসব ছাড়াও এদিন শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শেখ রাসেল গ্যালারিতে শেখ রাসেলের দুর্লভ ৬২টি ছবির স্থায়ী প্রদর্শনী হয়।নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গত ১৮ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদরের ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেলের ৫৩তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, শিশু সমাবেশ, কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যালি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
ওই দিন সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্ট নিহত শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, শেখ রাসেল শিশু সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন। পরে বনানী কবরস্থান মসজিদে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মিলাদে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
সকাল ১০টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শেখ রাসেলের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে বলেন, তোমরাই হলে দেশ ও জাতির আগামী দিনের কর্ণধার। তাই বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তোমাদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আর দেশের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। কেননা, যে কোনো মহৎ কাজ অর্জিত হয় ত্যাগের বিনিময়েই। বাংলাদেশ আজ যে পর্যায়ে এসেছে, এ পর্যায়ে আনতে অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা হচ্ছে, তা কেবল বর্তমান প্রজন্মের জন্য নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও। বাংলাদেশের একটি মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না। প্রতিটি শিশু স্কুলে যাবে, শিক্ষা পাবে, মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। সে ধরনের সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। ভবিষ্যৎ কা-ারি হিসেবে গড়ে উঠতে শিশুদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। পিতা-মাতা, অভিভাবক, শিক্ষকদের কথা শুনতে হবে। দেশ অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। এ যাত্রায় তোমাদেরই হাল ধরতে হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আবেগজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট যে ঘটনা ঘটেছে, তার সাথে একমাত্র কারবালার ঘটনার সাথেই তুলনা করা যায়। কারবালাতেও বোধহয় শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৫ আগস্ট একই সাথে ৩টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে শিশুদেরও হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে আইন করে খুনিদের বিচারের হাত থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন দেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে এ ধরনের ঘৃণ্য নজির আছে বলে আমার জানা নেই। ছোট ভাই সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আবেগাক্রান্ত বড় বোন শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সব শিশুর মাঝে হারানো ছোট ভাই রাসেলকে খুঁজে পাই। একটি প্রশ্নই বারবার জাগেÑ কী অপরাধ ছিল ছোট্ট রাসেলের যে এভাবে নৃশংস হত্যাকা-ের শিকার হতে হলো?
মাকে আব্বা বলে ডাকত রাসেল : ছোট ভাই রাসেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আবেগজড়িত স্মৃতিচারণে মিলনায়তনে উপস্থিত শত শত শিশু-কিশোরের চোখ বেয়ে পানি ঝরতে দেখা গেছে। পিনপতন নীরবতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জন্মের পর থেকে রাসেল বড় হয়েছে পিতা-মাতা, ভাই সবার ¯েœহ নিয়ে। কিন্তু কতটুকু পেয়েছে পিতৃ¯েœহ? তাকে বড় হতে হয়েছে পিতৃ¯েœহ থেকে বঞ্চিত হয়েই। ছোট্ট রাসেলকে পিতার ¯েœহবঞ্চিত হয়েই বড় হতে হয়েছে। যখনই আমরা কারাগারে যেতাম বাবাকে দেখতে, রাসেলকে নিয়ে আসা কঠিন ছিল। অনেক কষ্ট করে তাকে নিয়ে আসতে হতো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন রাসেল কথা বলতে শুরু করল সে বাবাকে খুঁজে বেড়াত। তখন মা তাকে বলত, আমিই তো তোমার বাবা। মাকে সে আব্বা বলেও ডাকত, মা বলেও ডাকত। তিনি বলেন, আবার আমরা যখন কারাগারে দেখতে যেতাম তখন অবুঝ হৃদয় বাবাকে আব্বা বলে ডাকত, আবার মাকে আব্বা বলে ডাকত। এভাবেই ছোট রাসেল বেড়ে উঠেছে। আমরা সবাই পিতৃ¯েœহ থেকে বঞ্চিত।
এ ছাড়াও শহীদ শেখ রাসেলের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সামনে যৌথভাবে শিশু সমাবেশের আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও স্মৃতি জাদুঘর। ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।
ওই দিন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির আয়োজনে শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী ‘শেখ রাসেল জাতীয় শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসব’। শিশুদের মাঝে মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে ছোটদের ছবি দেখার এই আয়োজন করা হয়। বড়দের পাশাপাশি ক্ষুদে নির্মাতাদের নির্মিত চলচ্চিত্রও ঠাঁই পায় এই উৎসবে। এগুলোর মধ্যে দেশে নির্মিত শিশুতোষ পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য, প্রামাণ্য ও অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র। সব মিলিয়ে উৎসবে প্রদর্শিত হয় ১৭টি চলচ্চিত্র। এই উৎসব ছাড়াও এদিন শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শেখ রাসেল গ্যালারিতে শেখ রাসেলের দুর্লভ ৬২টি ছবির স্থায়ী প্রদর্শনী হয়।