নোয়াখালীতে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির উদ্বোধন
নোয়াখালীতে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সদর উপজেলা উপজেলা পরিষদ উদ্যোগে নোয়াখালী জেলায় ভিক্ষুকমুক্ত করতে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপজেলার ১২১ জন ভিক্ষুকের হাতে রিকশা, ছাগল, হাঁস-মুরগী, সেলাই মেশিন, শাড়ি-চুড়ি, চায়ের ফ্লাক্স-কাপ ও হোগলা পাতা তুলে দেন চট্টগ্রাম বিভাগী কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ্যডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ড. মাহে আলম। বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কামাল উদ্দিন, এওজবালীয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুজজ্জাহের। পুনর্বাসিত ভিক্ষুক মোহাম্মদ মিরন ও বিবি হালিমা তাদের অনুভুতি ব্যক্ত করেন।
এ সময় ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির ওপর বিশেষ নিবন্ধ প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুর রউফ মন্ডল ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম সরদার। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. কামাল উদ্দিনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সদর বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্য্যান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন আমি বিভাগীয় কমিশনার হিসাবে গত ১১ সেপ্টেম্বর যোগদান করে বিভাগের ১১ জেলায় ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে ৬ মাসের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ১১ মার্চের মধ্যে তা বাস্তবায়নের জন্য সকল জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠি পাঠাই। যা ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন হতে শুরু করেছে। যদি কমিন্টমেন্ট থাকলে সব কিছুই সম্ভব। এই মার্চ মাসে আমরা বঙ্গবন্ধু সেটেলাইট উৎক্ষেপণ করব, এ মাসে আমরা মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছি। আমরা আর ভিক্ষুক দেখতে চাই না, এজন্য তিনি বিত্তবানরা তাতের জাকাতসহ দানের টাকা দিয়ে হতদরিদ্রদের পুনর্বাসন করলে এদেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা পরিণত হবে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উদয়ন দেওয়ান জানান, নোয়াখালী জেলার ৯টি উপজেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে ৫৮২১ জন ভিক্ষুকের তালিকা করে জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের আর্থিক সহযোগিতায় সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১২১ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের আওয়তায় আনার মধ্যে দিয়ে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।