প্রকৃত গরিবদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি চালের জন্য স্বজনপ্রীতি না করে প্রকৃত গরিব ও দুস্থদের নাম দ্রুত যাচাই বাছাই করে নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ৷
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ তালিকায় থাকা সুবিধাভোগীদের নিয়ে কিছু অভিযোগ আসায় প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অতি দ্রুত যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গরিব ও দুস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নতুন করে তালিকা তৈরি করার। এজন্য কোনো প্রকার হুমকি-ধমকিকে ভয় না করে স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থেকে প্রকৃত গরিব ও দুস্থদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন তিনি।
বুধবার মন্ত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলায় করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এ কথা জানান৷
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে প্রতিটি উপজেলায় অতীতে তালিকা তৈরি করার সময় যে ট্যাগ অফিসার ছিলেন তাদের সরিয়ে নতুন করে কোনো ট্যাগ অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হোক।
মন্ত্রী বলেন, ধান-চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রতিটি উপজেলায় সংগ্রহ কমিটি রয়েছে। সংগ্রহ কমিটিকে প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে কৃষকের উপস্থিতিতে লটারি করার আহ্বান জানান তিনি।
কৃষকের ধান দেওয়ার ক্ষেত্রে ময়েশ্চার বা আর্দ্রতা সমস্যার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, কৃষকের ধান দেওয়ার ক্ষেত্রে আদ্রতা নিয়ে একটু সমস্যা হয় কিন্তু প্রতিটি উপজেলার কৃষি অফিসে আদ্রতা মাপার যন্ত্র রয়েছে। কৃষকের নামের লটারি করার পর উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এসমস্ত চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত কৃষকের বাড়িতে গিয়ে তাদের ধানের আদ্রতা পরিমাপ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, যা কৃষকের জন্য খুব উপকার হবে। এছাড়া দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে খাদ্যশস্যের আদ্রতা মাপার যন্ত্র সরবরাহ করার বিষয়টির ওপরও তিনি গুরুত্ব দেন।