ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে তিন বছরে সর্বনিম্ন
দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন এসে ঠেকেছে। ফেব্রুয়ারিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৭৬ শতাংশে, যা গত ৪১ মাসে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৪.৯৬ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। গত ৮ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য সাংবাদিকদের জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি। মূল্যস্ফীতির হার সর্বনিম্ন নেমে আসার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এখন সর্বনিম্ন। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও পড়তির দিকে। তা ছাড়া বর্তমান মুদ্রা বিনিময় হারও স্থিতিশীল। এসব কারণে দেশের মূল্যস্ফীতির হার সর্বনিম্ন বলে জানান মন্ত্রী।
বিবিএস কর্মকর্তারা বলছেন, গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতির সর্বনিম্ন হার নিরূপণ করা হয়েছে ২০০৫-০৬ অর্থবছরের ভিত্তিতে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জানুয়ারি বছরের প্রথম মাস হওয়ায় বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল। তবে সেটি ফেব্রুয়ারিতে এসে কমতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলসহ সব কিছুর দাম কমতির দিকে। এ ছাড়া দেশে মুদ্রাবিনিময় হার স্থির রয়েছে দীর্ঘদিন। ফলে আমদানি ব্যয় স্বাভাবিকভাবেই আগের চেয়ে কমেছে। একই সাথে দেশে বিদ্যুৎসহ কোনো কিছুর দাম বাড়েনি, তাই উৎপাদন খরচও বাড়েনি। ফলে উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি বরং কমেছে।
বিবিএস তথ্য অনুযায়ী, গ্রামে ফেব্রুয়ারিতে গড় মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৭৬ শতাংশে, যা এর আগের মাসে ছিল ৫.২৯ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩.০৪ শতাংশে, যা এর আগের মাসে ছিল ৩.৬৩ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৯৭ শতাংশে, যা এর আগের মাসে ছিল ৮.৩৭ শতাংশ।