প্রতিবেদন

বিএনপির ওপর জনগণের আস্থা নেই

উত্তরণ প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনেও বিজয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, লুটেরাদের সংগঠন বিএনপির ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। এ দলটি কেবল হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েই ক্ষমতা দখল করেছিল এবং জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনে কোনোকিছুই করেনি। ক্ষমতায় থাকাকালে তারা শুধু নিজেদের পকেট ভারি করেছিল। সন্ত্রাস ও ভয়ভীতির রাজত্ব কায়েম করে কেবল নিজেদের ভাগ্য গড়ায় ব্যস্ত ছিল। তাই বিগত দিনের মতো আগামী নির্বাচনেও জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে, আওয়ামী লীগকে আবারও নির্বাচিত করবে।
গত ১১ জুন সকালে গণভবনে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে দলের নেতা-কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ আজ যে উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে, নিশ্চয়ই তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তারা আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করবে। বাংলাদেশের মানুষ আজ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে যে উন্নয়নটা পাচ্ছে সেটা প্রত্যেকটা মানুষ উপলব্ধি করে। একটা সরকারের ধারাবাহিকতা যে একান্তভাবে প্রয়োজন সেটাও আজ প্রমাণিত। তিনি বলেন, নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ এগিয়ে চলেছে। জনগণই বারবার ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মান-মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। জনগণ কিছু পায়। আর অন্যরা ক্ষমতায় আসে শুধু নিজেদের আখের গোছাতে।
আওয়ামী লীগ, তাদের সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শেখ হাসিনাকে কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছায় ¯œাত করেন। আর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।
ওয়ান-ইলেভেনের সেই দুঃসময়ের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে আমাকে রাখা হয়েছে ১১টি মাস। দোতলার নিচে পর্যন্ত নামতে দিত না। এমনকি অসুস্থ হলে ডাক্তারও দেখায় নি। কিন্তু আমি কখনও মনের জোর হারাই নি। তিনি বলেন, ছেলের বউয়ের অপারেশন, মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিল। সেজন্য আমি দেশের বাইরে যাই। অথচ এরপর আমাকে দেশে আসতে দেবে না। মামলা দেবে, ওয়ারেন্ট ইস্যু করবে। এ খেলাই তারা খেলতে চেয়েছে। তিনি বলেন, সবাই মামলার ভয়ে পালায়। আমি সেখানে জোর করে ফেরত এসেছি মামলা মোকাবেলা করার জন্য। নির্দেশ ছিল কেউ যেন বিমানবন্দরে না যায় এবং তারা সংখ্যা বেঁধে দিয়েছিল। ১০-২০ জনের বেশি যেতে পারবে না। সকল বাধা উপেক্ষা করে কৌশলে বিমানবন্দরে হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল। তাদের যেটা উদ্দেশ্য ছিল, হাজার হাজার মানুষ থাকায় তারা সেটা করতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকারবিরোধী আন্দোলনের কথা স্মরণ করে বলেন, আমরা দেখেছি চেহারা। ভেতরে থাকলে এক চেহারা, বাইরে থাকলে আরেক চেহারা। আওয়ামী লীগ সব সময় তৃণমূলের দল। তৃণমূল কখন সিদ্ধান্তে ভুল করে না। জন্মলগ্ন থেকেই এ ধরনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *