‘বিত্তশালীদের শুধু নাই নাই ভাব, অথচ নাজিমুদ্দিনকে দেখেন…’
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গান্ধীগাঁও গ্রামের ‘ভিক্ষুক’ নাজিমুদ্দিনের কথা বলে বিত্তশালীদের লজ্জায় ফেললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেরপুরের একজন সহায় সম্বলহীন মানুষ নাজিমুদ্দিন, তিনি বহু কষ্টে জমানো ১০ হাজার টাকা করোনার ত্রান তহবিলে দিয়ে দিলেন। আর বিত্তশালীদের মধ্যে শুধু ‘নাই নাই’ ভাব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিনমজুরি করতে গিয়ে ৮–৯ বছর আগে তাঁর পা ভেঙে যায়। সেই থেকে ভিক্ষা করে সংসার চালাচ্ছেন। কিন্তু করোনা সংকটকালে তিনি যে উদাহরণ সৃষ্টি করলেন, তার কোনো তুলনা চলে না। নিজের ভাঙাচোরা ঘর ঠিক করতে বহু বছর ধরে বহুকষ্টে ১০ হাজার টাকা জমিয়েছলেন নাজিমুদ্দিন। অথচ সেটাই ত্রাণ তহবিলে দিয়ে দিলেন। এত বড় মন তার। তার তো ইচ্ছা হতে পারতো ওই টাকাটা দিয়ে খাবার কিনতে, জামা কিনতে। কিন্তু তিনি তা করেননি। তার কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
প্রসঙ্গত যে, ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গান্ধীগাঁও গ্রামের মৃত ইয়ার উদ্দিনের ছেলে নাজিমুদ্দিন। দেশে অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে সম্প্রতি গান্ধীগাঁও গ্রামের কর্মহীন দরিদ্র মানুষদের ত্রাণ সহায়তা দিতে প্রশাসনের নির্দেশে তালিকা করা হয়। তখন পরিচয়পত্র দেখিয়ে নাজিমুদ্দিনকে তালিকাভুক্ত হওয়ার অনুরোধ করলে তিনি রাজি হননি। বরং তার জমানো ১০ হাজার টাকা উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো শেরপুরের সেই ভিক্ষুককে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।