‘বিশ্বের অর্থনৈতিক সামরিক কেন্দ্রবিন্দু হবে চীন’
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হবে চীন। তিনি বলেছেন, চীন এখন নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। তিনি চীনকে আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ারও অঙ্গীকার করেন। গত ১৮ অক্টোবর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৯তম কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে শি জিনপিং এসব কথা বলেন।
বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দেওয়া বক্তব্যে শি জিনপিং বলেন, চীন নতুন যুগে প্রবেশ করেছে, কারণ দেশটি এখন বিশ্বমঞ্চের কেন্দ্রে অবস্থান করছে। নিজস্ব সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে চীন যেভাবে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি লাভ করেছে তাতে অন্য দেশও এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে বলে মনে করেন শি। কিন্তু চীন অন্য কোনো দেশের আদর্শকে গ্রহণ করবে না বলেও উল্লেখ করেন চীনা প্রেসিডেন্ট। এই কংগ্রেসের মাধ্যমে শি জিনপিং আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হচ্ছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তিনি অনেক ক্ষমতাও পাবেন। পার্টির সাধারণ সম্পাদক শি পার্টির প্রধান হতে পারেন। প্রতি পাঁচ বছরে একবার এই কংগ্রেস বসে। এবারের কংগ্রেসে ৩ হাজারের বেশি প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছে। কংগ্রেস শেষ হওয়ার পরই কমিউনিস্ট পার্টির পলিট ব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠিত হবে। এই কমিটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।
২০৫০ সালের মধ্যে চীন বিশ্বের সেরা শক্তিধর দেশ হয়ে উঠবে জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিমা ধাঁচে গণতন্ত্র ফেরানোর কোনো আগ্রহ চীনের নেই। স্বাধীনতার দাবিতে বেশ কয়েকটি প্রদেশে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, কঠোর হাতে তা দমন করা হবে।
শি বলেন, বিশ্বের নতুন সামরিক বিপ্লব উন্নয়নের প্রবণতা ও জাতীয় নিরাপত্তার চাহিদা মেটাতে চীনা বাহিনীর ২০২০ সাল নাগাদ মোটামুটি অস্ত্রের আধুনিকায়ন বাস্তবায়ন নিশ্চিত হবে, তথ্যায়ন নির্মাণ কাজের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হবে, কৌশলগত সামর্থ্য উন্নতি হবে। সামরিক তত্ত্ব বাহিনীর সাংগঠনিক আকার, সামরিক ব্যক্তি আর অস্ত্র ও সরঞ্জাম এই ৪টি ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন এগিয়ে যাবে যাতে ২০৩৫ সালে মোটামুটি প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকায়ন সম্ভব হবে। এ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় বিশ্বের প্রথম শ্রেণির বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হবে। শি জিনপিং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করে বলেন, দুর্নীতি করে কেউ রেহাই পাবে না। চীন মানব ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে উল্লেখ করে শি বলেন, চীনা নেতৃত্বকে খাটো করে এমন কোনো বৈদেশিক রাজনৈতিক নীতি গ্রহণ করা হবে না।