প্রতিবেদন

বিশ্বের ৩৬তম ক্ষমতাধর নারী শেখ হাসিনা মুসলিমদের মধ্যে প্রথম

বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ৩৬তম অবস্থানে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘ফোর্বস’ সাময়িকী এই তালিকা করেছে। গত বছর এই তালিকায় তিনি ছিলেন ৫৯তম অবস্থানে। গত ৬ জুন নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে ‘ফোর্বস’। এতে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকা দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের রাজনীতিতে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ২৬ নারীর তালিকা তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে শেখ হাসিনার অবস্থান ১৫তম। শত ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান আছেন ১১ জন। এর মধ্যে রানি এলিজাবেথও রয়েছেন। ১০০ জনের তালিকায় ফার্স্ট লেডি থেকে শুরু করে আছেন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা। বিনোদন জগতের ব্যক্তিরাও বাদ পড়েননি তালিকা থেকে। ক্ষমতাধর শত নারীর তালিকায় প্রথম স্থানে আছেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। তিনি এই তালিকায় ছয় বছর ধরে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিলারি ক্লিনটন। যুক্তরাষ্ট্রেরই ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেনেট ইয়েলেন আছেন তৃতীয় অবস্থানে।
তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে আছেন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের প্রধান বিল গেটসের স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস। জেনারেল মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেরি টেরেসা বাররা পঞ্চম এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টিনা ল্যাগার্দে আছেন ষষ্ঠ অবস্থানে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা আছেন ক্ষমতাধর শত নারীর তালিকার ত্রয়োদশ অবস্থানে।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী এবং দেশটির বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের উপদেষ্টা অং সান সু চি শত ক্ষমতাধর নারীর মধ্যে ২৬তম। আর ২৬ জন সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাজনীতিকের তালিকায় দ্বাদশ অবস্থানে তিনি। সবচেয়ে বেশি বয়সী নারী হিসেবে তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ৯০ বছর বয়সী রানির অবস্থান ২৯তম। তালিকায় নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা ভান্ডারি ৫২তম অবস্থানে। ভারতের চারজন নারী ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় আছেন। তবে তাদের কেউই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তালিকায় ২৫তম অবস্থানে আছেন স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক অরুন্ধতী ভট্টাচার্য। আর আইসিআইসিআই ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চন্দা কোছার ৪০তম, বিকন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কিরণ মজুমদার-শ ৭৭ এবং এইচটি মিডিয়ার সোবহানা ভারতীয়া আছেন ৯৩তম স্থানে।
বিবিএসের প্রতিবেদন
দেশের মানুষের গড় আয়ু এখন ৭১ বছর
বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কিছুটা বেড়ে ৭০ দশমিক ৯ বছর হয়েছে। মাস-দিনের হিসাবে একজন মানুষ ৭০ বছর ১০ মাস ২৪ দিন বাঁচেন। এর আগের বছরের হিসাবে গড় আয়ু ছিল ৭০ দশমিক ৭ বছর বা ৭০ বছর ৮ মাস ১১ দিন। তবে পুরুষের চেয়ে নারীরা গড়ে আড়াই বছর বেশি বাঁচেন। গড়ে নারীরা ৭২ বছর এবং পুরুষেরা ৬৯ দশমিক ৪ বছর বাঁচেন।
গত ২২ জুন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত ২০১৪ সালের মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসের ফলাফলে এই চিত্র পাওয়া গেছে। এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার অপরিবর্তিত রয়েছে। ২০১৫ সালে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে জনসংখ্যা বেড়েছে। এর আগের দুই বছরেও এ হার ছিল।
তবে মোট প্রজননের হার কিছুটা কমেছে। বিবিএসের হিসাবে, ২০১৫ সালে প্রজননের হার ২ দশমিক ১০ শতাংশ। এর মানে হলো, ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী প্রজননসক্ষম মা সারা জীবনে গড়ে ২ দশমিক ১০ সংখ্যায় বাচ্চা জন্ম দেন। ২০১৪ সালে মোট প্রজননের হার ছিল ২ দশমিক ১১ শতাংশ।
মৃত্যু : ২০১৫ সালের হিসাবে, স্থূল মৃত্যু, সব বয়সী শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসে আরও অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি ১ হাজারে এক বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে গড়ে ২৯ জনের মৃত্যু হয়। নানা ধরনের রোগবালাইয়ে বেশি মৃত্যু হয়। জীবিত জন্ম হয়, কিন্তু এক মাস বয়স হওয়ার আগেই মারা যায়, এমন নবজাতকের সংখ্যা প্রতি হাজারে ২০। একইভাবে ১ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রতি হাজারে গড়ে ৯ জন মারা যায়। আর এক থেকে চার বছর বয়সীদের মধ্যে এ সংখ্যা হাজারে ২। পাঁচ বছরের নিচে প্রতি হাজারে গড়ে ৩২টি শিশু মারা যায়।
অন্যদিকে সন্তান জন্মদানের সময় প্রতি ১ লাখ মায়ের মধ্যে গড়ে ১৮১ জন প্রসবে জটিলতার কারণে মারা যান। আর একটি নির্দিষ্ট এলাকায় এক বছরে ১ হাজারের মধ্যে গড়ে ৫ দশমিক একজন মারা যান। এটি স্থূল মৃত্যুহার।
শিক্ষা : এক বছরের ব্যবধানে শিক্ষার হার বেড়েছে। সাত বছর ও এর বেশি বয়সের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশই শিক্ষিত। তারা সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। এই বয়সী জনগোষ্ঠীর পুরুষদের মধ্যে ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ ও নারীদের ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। শহরে সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৩ শতাংশ, আর গ্রামে ৫৭ দশমিক ২ শতাংশ। ২০১৫ সালে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সারাদেশে শিক্ষার হার ছিল ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ।
দেশে হিন্দু জনসংখ্যা বেড়েছে
এক বছরের ব্যবধানে দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বেড়েছে। ২০১৫ সালের হিসাবে, দেশের মোট জনসংখ্যার ১০ দশমিক ৭ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। আগের বছর এর হার ছিল ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৫ সালের স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। গত ২২ জুন এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
বিবিএসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল নাগাদ দেশের মোট জনসংখ্যা ১৫ কোটি ৮৯ লাখ। সেই হিসাবে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ। বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালে দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৬৮ লাখ। এই হিসাব ধরে তখন হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৫৫ লাখ। এর মানে, এক বছরের ব্যবধানে হিন্দু জনগোষ্ঠী বেড়েছে ১৫ লাখ। একইভাবে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাও। বিবিএসের হিসাবে, মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ১ শতাংশ খ্রিস্টান ও অন্য ধর্মাবলম্বী। ২০১৪ সালে এই হার ছিল দশমিক ৯ শতাংশ।
গ্লোবাল পিস ইনডেক্স
ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ
আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘গ্লোবাল পিস ইনডেক্স’-এর তালিকা অনুসারে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ বেশি শান্তিপূর্ণ। ১৬৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ৮৪ নম্বরে। ১৪১ নম্বরে আছে ভারত। পাকিস্তান রয়েছে ১৫৩ নম্বরে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ভুটান। তারা আছে ১৩ নম্বরে। ভারতের চেয়ে বেশি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকা। শ্রীলংকা রয়েছে ১১৪ নম্বরে। বিশ্বে সবচেয়ে অশান্ত দেশের আখ্যা পেয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া। দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে দক্ষিণ সুদান, ইরাক এবং আফগানিস্তান। সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ আইসল্যান্ড। তার পরেই ডেনমার্ক এবং অস্ট্রিয়া। শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকা বানানোর সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল কোন দেশে কতটা বিদেশি বিনিয়োগ খাটানো হয় তার ওপর। এ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে কার কেমন সম্পর্ক, সংবাদমাধ্যমের বাকস্বাধীনতা, দুর্নীতির হার ইত্যাদি বিষয়ও খতিয়ে দেখা হয়েছিল।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন
দূষণ কমানোয় বিশ্বসেরা রাজশাহী মহানগর
বাতাসে ভাসমান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কণা দ্রুত কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে আছে রাজশাহী শহর। গত দুই বছরে রাজশাহীতে এই সফলতা এসেছে। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উপাত্তের ভিত্তিতে গত ১৭ জুন যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বুক ভরে পদ্মা নদীর নির্মল বাতাস নিতে রাজশাহী নগরের লালন শাহ পার্কে প্রতিদিন বিকেলে ভিড় করেন অনেক মানুষ। শহরের ভেতরেও বেশ পরিচ্ছন্ন একটা চেহারা চোখে পড়ে। সড়ক বিভাজকজুড়ে সবুজের বেষ্টনীসহ সব মিলিয়ে রাজশাহী এখন একটি নির্মল বাতাসের শহর। গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজশাহীর বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্র ধূলিকণা (১০ মাইক্রোমিটার আকারের) প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ছিল ১৯৫ মাইক্রোগ্রাম। এটা প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমে ২০১৬ সালে দাঁড়ায় ৬৩ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রামে। দুই বছর আগে এই শহরে আরও ক্ষুদ্র ধূলিকণা (২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার আকারের) প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ছিল ৭০ মাইক্রোগ্রাম। ২০১৬ সালে এটি প্রায় অর্ধেক হয়ে দাঁড়ায়, ৩৭ মাইক্রোগ্রাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের যে ১০টি শহরে গত দুই বছরে বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্র ধূলিকণা কমেছে, এর মধ্যে রাজশাহীতে কমার হার সবচেয়ে বেশি। এর পরিমাণ ৬৭ শতাংশ। ইটভাটার চিমনির উচ্চতা বাড়িয়ে দেওয়া, বনায়ন, রাস্তার পাশের ফুটপাথ কংক্রিট দিয়ে ঘিরে দেওয়া, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বহুল ব্যবহার, ডিজেলচালিত যানবাহন চলাচলে কড়াকড়িÑ এসবই রাজশাহীর বায়ুদূষণ কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের পরিচালক উদ্ভিদবিজ্ঞানী অধ্যাপক এম মনজুর হোসেন বলেন, ১০ মাইক্রোমিটার অথবা তার চেয়ে কম ব্যাসের কণা কোনো নির্দিষ্ট উৎস অথবা জটিল রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ে। এরা সরাসরি শ্বাসনালি হয়ে ফুসফুসে ঢুকে যায়। মানবদেহের জন্য এ কণা অত্যন্ত ক্ষতিকর। তিনি বলেন, ডিজেলচালিত যানবাহন থেকে এই কণা বেশি ছড়ায়।
এম মনজুর হোসেন বলেন, রাজশাহীতে বর্তমানে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থাকার কারণে ডিজেলচালিত যানবাহন শহরে ব্যবহৃত হচ্ছে না। রাজশাহীর বাতাসে এই কণা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক সুলতান উল ইসলাম বলেন, রাজশাহী নগরের চারদিকে যে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে, পাশে পদ্মা নদীর চরও সবুজ ঘাস ও কাশবনে ছেয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ফসলও হচ্ছে। এ কারণে আগে যে পরিমাণ ধূলিঝড় দেখা যেত, এখন আর দেখা যায় না। রাজশাহী নগরের পদ্মা নদীর পরিত্যক্ত ধারে বর্তমানে পরিকল্পিত পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। প্রায় ৫ কিলোমিটার টাইলস দিয়ে হাঁটার পথ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এটি এখন পদ্মার নির্মল বাতাসের একটি উৎস। এসব জায়গা থেকে আর ধুলোবালি ওড়ে না।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ পদক পেয়েছে। তার আগের তিন বছর বৃক্ষরোপণে সেরা পদক পেয়েছে। তিনি বলেন, গত ২০ বছরে নগর সবুজায়নে তারা যে কাজ করেছেন, তার কারণে নগরের বাতাস নির্মল হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *