বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চোখে শেখ হাসিনা
উত্তরণ প্রতিবেদন: * প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব ও দৃশ্যমান উন্নয়নের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বিশ্বের অধিকাংশ উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশে ইতোমধ্যে বিনিয়োগ করে উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখছেÑ আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক ড. মাহাথির মোহাম্মদ।
* প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও কার্যকর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়ন ধারার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক ড. মাহাথির মোহাম্মদ।
* ‘ইউ (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আর দি চাম্পিয়ন অব উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট।’ Ñ বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার নতুন হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট।
* যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বাংলাদেশকে বিশ্বের মডেল এবং বাংলাদেশস্থ সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা ‘এশিয়ার টাইগার’ বলে মন্তব্য করেছেন।
* ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ব্লেক বলেছেন, বাংলাদেশ এশিয়ার একটি মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
* মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাংলাদেশকে ‘নাম্বার ওয়ান উন্নয়নমুখী দেশ’ বলেছেন।
* ‘বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা স্থাপনে আপনার ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’ Ñ জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন।
* ‘সন্ত্রাস ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার অবস্থান বিশ্বব্যাপী উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে।’ Ñ রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেনাদি গাতিলোভ।
* প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল।
* শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা এসেছেÑ ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব।
* ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ’ Ñ কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী মেরি ক্লদ বিবেউ।
* শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এগিয়ে যাচ্ছেÑ জন কেরি, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
* শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির পথে আছেÑ প্রণব মুখার্জী, ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি।
* শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং নারী-পুরুষের সামাজিক সমতা অর্জনের জন্য তিনি বিশ্বের বুকে অনুকরণীয়Ñ ডেভিড ক্যামেরন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
* নারীর ক্ষমতায়ন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা বিশ্বের বুকে প্রশংসিতÑ প্রিন্সেস অ্যান, রানী এলিজাবেথ দ্বিতীয়-র কন্যা।
* শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি প্রশমনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেÑ বান কি-মুন, জাতিসংঘের মহাসচিব।
* শেখ হাসিনা বৈশ্বিক নেতাদের জন্য প্রগতিশীলতার আদর্শ এবং তার সরকারের শিশু অধিকার বিশেষত মেয়ে শিশুদের অধিকার সংরক্ষণে তিনি প্রশংসিতÑ অ্যানথনি লেক, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক।
* বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ নির্মাতা এবং তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রক্ষাকর্তাÑ নরেন্দ্র মোদি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
* শেখ হাসিনা একটি বৈশ্বিক সাহসের নাম, যে সাহস বিশ্বে নারী ক্ষমতায়নের জোরালো কণ্ঠস্বরÑ ইরিনা বোকোভা, ইউনেস্কোর মহাপরিচালক।
* শেখ হাসিনা তার সুদক্ষ নেতৃত্ব প্রদর্শনের মাধ্যমে এমডিজির লক্ষগুলো অর্জনে বাংলাদেশকে সক্ষম করেছেন এবং অনুকরণীয় হিসেবে পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেনÑ স্যার জিম বলজার, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।
* শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার নারী ক্ষমতায়নের দুর্গÑ মারিয়ে-ক্লদে বিভেউ, কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী।
* এমডিজির লক্ষগুলো অর্জনে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক এগিয়ে গেছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্যে ঘাটতি দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে পরিচিতি লাভ করেছেÑ নিশা দেশাই বিসওয়াল, সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
* শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য শেখ হাসিনার আপসহীন নীতির জন্য বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছেÑ জেনাদি গেটিলভ, রাশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
* খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন বাংলাদেশে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপস্থিতির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশ থেকে তাদের সমূলে উচ্ছেদ করেছেনÑ বীণা সিক্রী, বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার।
* জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেনÑ বান কি-মুন, জাতিসংঘের মহাসচিব।
* প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি অস্বীকার করেন নি; বরং তার সরকার তাদের গ্রেফতার করেছে এবং তাদের ভারতের হাতে তুলেও দিয়েছেÑ শশী থারুর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, ভারতীয় লোকসভা।
* সন্ত্রাস-মৌলবাদ দমনে শেখ হাসিনার প্রশংসা করলেন ১০ ব্রিটিশ এমপি : ২০১৬-এর ১ জুলাই গুলশানের ক্যাফেতে হামলার পর সন্ত্রাস ও মৌলবাদ দমনে কার্যকর প্রচেষ্টা চালানোর জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ১০ সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনি এমপি ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইন গত ২২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ১০ এমপিকে এই বিষয়ে ব্রিফ করেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টে বাংলাদেশ বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) চেয়ারম্যান অ্যান মেইন, মার্ক ফিল্ড, পাউল স্কিউলি, ড. রূপা হক, রুশনারা আলী, সাইমন ডান্সঝুক, বব ব্ল্যাকম্যান, ডেভিড মেকিনটোস, ফ্লিক ড্রুমমন্ড ও ম্যাথিউ অফফোর্ড। বাংলাদেশ বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এই সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত করার লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বৈঠককালে ব্রিটিশ এমপিরা বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা, রোহিঙ্গা ইস্যু, নতুন নির্বাচন কমিশন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনি এমপি বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু, সাম্প্রতিক উন্নয়ন কার্যক্রম এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিটিশ এমপিদের অবহিত করেন। হাইকমিশনার বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ এমপিদের ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের ইতিহাস, রাজনৈতিক পটভূমি ও সাম্প্রতিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের গৃহীত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম, গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। (দৈনিক কালের কণ্ঠ, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭)
* প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নারী-শিশুর উন্নয়নে পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন কৈলাস সত্যার্থী। লিঙ্গীয় অসমতা দূর করে নারী ও শিশুদের উন্নয়নের পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ভারতের শিশু অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থী। তিনি বলেন, আগে একটি ধারণা প্রচলিত ছিল, এনজিওগুলো শুধু শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে এই ধারণা বদলেছে। তিনি গত ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন। (৪ এপ্রিল ২০১৭, সমকাল)