ভার্চুয়াল সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ প্রস্তাব

করোনা সংকট মোকাবিলায় গোটা বিশ্বকে একজোট হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবার সমন্বিত দায়িত্বশীলতা ও অংশীদারিত্বে গুরুত্ব দিয়ে বৈশ্বিক এই সংকট মোকাবিলায় পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন তিনি।

১। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে দারিদ্র্য ও বৈষম্য দ্রুত বাড়বে। গত এক দশকে আমরা আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্ধেককে দারিদ্রসীমা থেকে বের করে এনেছিলাম। তাদের অনেকে এখন আবার আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারে। তাই বিশ্বকে মানবকল্যাণ, বৈষম্য দূরীকরণ, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং কোভিড-১৯-এর আগের অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে নতুন করে ভাবতে হবে।

২। আমাদের প্রয়োজন জি-৭, জি-২০ ও ওইসিডি’র মতো সংগঠনগুলো থেকে দৃঢ় ও পরিকল্পিত বৈশ্বিক নেতৃত্ব। জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকেও এগিয়ে আসা উচিত। আমি অধ্যাপক সোয়াবকে (বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরোমের প্রতিষ্ঠাতা) প্রশংসা করছি। কারন তিনি সংক্রামক রোগগুলোকে ২০২০-এর বৈশ্বিক ঝুঁকি সম্পর্কিত প্রতিবেদনে অন্যতম মুখ্য ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সুতরাং ফোরাম ও জাতিসংঘের উচিত সরকার ও বিশ্ব ব্যবসাকে এ বিষয়ে একত্রিত করা এবং নেতৃত্ব দেওয়া।

৩। আমরা এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা, কাজ ও উৎপাদনে পরিবর্তন দেখছি। কোভিড পরবর্তী সময়ে নতুন নীতি, স্ট্যান্ডার্ড ও পদ্ধতি দেখব। এরই মধ্যে আমরা দেখছি সরবরাহ চেইনে থাকা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডকে যথাযথ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছে না। সুতরাং আমাদের এমন কৌশল ও বাস্তবমুখী সহায়তা ব্যবস্থা নিতে হবে যেন বাংলাদেশের মতো দেশগুলো টিকে থাকতে পারে।

৪। অভিবাসী কর্মীরা বেকারত্বসহ অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি পার করছেন। এটি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। সুতরাং বোঝা ও দায়িত্ব শেয়ার করার মতো আমাদের এমন একটি অর্থপূর্ণ বৈশ্বিক কৌশল ও পরিকল্পনা নিতে হবে।

৫। এই মহামারির সময়ে আমরা কার্যকরভাবে বেশকিছু ডিজিটাল প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার করেছি। যেমন— কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংক্রমণ চিহ্নিত করা। ভবিষ্যতের প্রস্তুতির জন্য আমরা বিভিন্ন খাতে এরকম উদ্ভাবনীমূলক ব্যবস্থা নিতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *