যেসব পণ্যের দাম কমবে

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (১১ জুন) আগামী অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে করারোপ কম বেশি করার প্রস্তাবের কারণে অনেক পণ্যের দাম কম বা বেশি হতে পারে।

দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের…

১. সরিষার তেল: প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শরিষার তেলে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

২. কৃষি যন্ত্রপাতি: পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার অপারেটড সিডার, কম্পাইন্ড হার্ভেস্টার, রোটারি টিলার।

৩. সৌরবিদ্যুৎ: সোলার ব্যাটারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

৪. আলু থেকে তৈরি খাদ্যদ্রব্য: আলু ব্যবহার করে পটেটো ফেক্স তৈরির ওপর মূসক কমানো হয়েছে।

৫. টেক্সটাইল শিল্প: দেশীয় টেক্সটাইল শিল্প বিকাশে পলিস্টার, রেয়ন ও অন্যান্যা সিনথেটিক সুতা ও কটন সুতার মূল্য হ্রাস।

৬. স্বর্ণ আমদানিতে মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। তাহলে কমে যাবে স্বর্ণের দাম।

৭. অটোমোবাইল, ফ্রিজ, এসির ওপর মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।

৮. ডিটারজেন্টের কাঁচামালের ওপর শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে।

৯. স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপারের কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

১০. ইস্পাত শিল্পের রিফ্রাক্টরি সিমেন্টের ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

১১. এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমতে পারে।

১২. রেফ্রিজারেটর ও এসির কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে।

জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বিকাল ৩টা ৪ মিনিটে বাজেট তুলে ধরা শুরু করেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালেরও এটি দ্বিতীয় বাজেট।

এর আগে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনা মহামারির বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশের সমান। বিদায়ী অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ১৮ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৮ দশমিক ৩ শতাংশের সমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *