প্রতিবেদন

রাজধানীতে প্রত্যাশার উড়াল সড়ক নির্মাণ শুরু

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০১৮ সালের মধ্যেই রাজধানীতে উড়াল সড়ক (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) দিয়ে গাড়ি চলতে পারবে। নগরবাসীর যানজটের ভোগান্তি লাঘবেই সরকার ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকা (সংশোধিত প্রকল্প ব্যয়) ব্যয়ে রাজধানীর সড়ক, বিশেষ করে রেললাইনের পর দিয়ে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর বিমানবন্দর থানাধীন কাওলা এলাকায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে এই উড়াল সড়কটি ব্যবহার করা যাবে। ৪টি লেন অতিরিক্ত থাকবে। ফলে যানজটের কবল থেকে রেহাই পাবেন জনগণ। তিনি বলেন, অতীতে সড়কের কাজে কিছুটা বিলম্ব হলেও এখন দ্রুতগতিতে কাজ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের কাজ পুরোদমে চলছে, যা কি-না আগামী ১৬ জুন ২০১৬ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাতায়াতের সময় বিভিন্ন স্থানে যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন এবং যানবাহনে উঠতে পারবেন। সড়কটি বেশির ভাগই হবে রেললাইনের ওপর দিয়ে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রসঙ্গ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম ধাপের ক্ষতিগ্রস্তদের ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া পুনর্বাসন পরিকল্পনার আওতায় প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্তদের বাজারমূল্য জমির ক্ষতিপূরণ, মালামাল অপসারণ, ব্যবসায়িক ক্ষতি ইত্যাদি বাবদ ইতোমধ্যে ১১৫ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রুট নির্ধারিত হয়েছে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-সাতরাস্তা-মগবাজার রেল করিডর-খিলগাঁও-কমলাপুর-গোলাপবাগ এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। দুটি লিংকসহ ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের একটি লিংক থাকবে হোটেল সোনারগাঁওয়ের পেছনে। অন্যটি থাকবে তেজগাঁও সাতরাস্তা হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত। পরবর্তী সময়ে এক্সপ্রেসওয়েটি সম্প্রসারিত করে উত্তর দিকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা ও দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করবে, যা একদিকে কাঁচপুর সেতু এবং অন্যদিকে নির্মিতব্য পদ্মা সেতু, ঢাকার উত্তর-দক্ষিণ এবং মধ্যাংশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোকেও যুক্ত করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *