রোহিঙ্গা সঙ্কট বাংলাদেশের ‘পাশে থাকবে’ ভিয়েতনাম
ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ত্রান দাই কুয়াং রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার নিজের কার্যালয়ে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
মিয়ানমারের রাখাইনের গতবছর ২৫ অগাস্ট নতুন করে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রাখাইনের গ্রামে গ্রামে হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নি সংযোগের ভয়াবহ বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে তাদের কাছ থেকে।
জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর এই কর্মকাণ্ডকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে চিহ্নিত করলেও দেশটির সরকার বলে আসছে, এটা ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি করলেও প্রস্তুতি শেষ না হওয়ায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি।
এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বাংলাদেশ ভিয়েতনামের সমর্থনও চেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,“ রাষ্ট্রপতি ত্রান দাই কুয়াং কার্যকর ও স্থায়ী সমাধানের জন্য তার সমর্থন জানিয়েছেন।”
ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট সকাল ১০টায় ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। দুই নেতার মধ্যে একান্ত বৈঠক শেষে শুরু হয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। সেখানে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা, ভিয়েতনামের পক্ষে তাদের রাষ্ট্রপ্রধান ত্রান দাই কুয়াং।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে দুই নেতার উপস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, যন্ত্র প্রকৌশল খাতে সহযোগিতাসহ তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বক্ষরিত হয়।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে রোববার ঢাকা পৌঁছান ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ত্রান দাই কুয়াং। গত ১৪ বছরে এটাই ভিয়েতনামের কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম বাংলাদেশে প্রথম সফর।