লেবাননের স্বাধীনতা দিবসে দেশে ফিরবেন হারিরি
তার পদত্যাগকে ঘিরে সৃষ্ট সংকট প্রসঙ্গে দেশে ফিরে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন বলে জানিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। শনিবার সৌদি আরব থেকে ফ্রান্স সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ’র সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। পাশাপাশি, আগামী বুধবার দেশে ফিরবেন বলে জানান তিনি। ওই দিন দেশটির ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস।
হারিরি বলেন, ‘লেবাননে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষিতে আমি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বৈরুতে ফিরে যাব এবং স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করব। এরপর প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের সঙ্গে বৈঠকের পর সব বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করব।’
প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর সৌদি আরব সফরে গিয়ে সৌদি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন হারিরি। এই ঘোষণায় হতবাক হয় লেবানন সহ গোটা মধ্যপ্রাচ্য। তখন থেকে লেবানের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলে আসছিলেন, সৌদি সরকার হারিরিকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য করেছে এবং তাকে রিয়াদে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
অবশ্য প্রায় দু’সপ্তাহের নীরবতা ভেঙে শনিবার (১৮ নভেম্বর) হারিরি নিজের স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রিয়াদ থেকে প্যারিস সফরে যান। কিন্তু তাদের দুই সন্তান এখনো রিয়াদে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
প্যারিসে পৌঁছেই সাদ হারিরি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। লেবাননের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ম্যাক্রঁই হারিরিকে প্যারিসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
প্যারিসে পৌঁছে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন হারিরি। সেখানে তিনি আউনকে জানান শিগগিরই দেশে ফিরে তিনি স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন এখনো সাদ হারিরির পদত্যাগপত্র গ্রহণ বা প্রধানমন্ত্রী পদে কাউকে নিয়োগ দেননি। তাই এখনও হারিরিকেই লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
এদিকে হারিরি সৌদি আরব ত্যাগ করলেও তার দুই সন্তান এখনো সৌদি আরবে থেকে যাওয়ায় তাকে নিয়ে সৌদি আরবের ‘ভয়ঙ্কর খেলা’ শেষ হয়ে যায়নি বলে অনেক মনে করছেন।
সূত্র: পার্সটুডে