শিশুদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ ও জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে গণভবনে বঙ্গবন্ধুর ৯৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের মাঝে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গত চার বছর বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট আয়োজিত জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রচনা এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী ১৫০ শিশুর হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতার ৯২তম, ৯৩তম, ৯৪তম ও ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় কোমলমতি শিশুরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা লিখেছে, ছবি এঁকেছে বাংলাদেশের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশু-কিশোরদের হাতেই আগামী দিনের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাই শিশুদের গড়ে তুলতে হবে যোগ্য নাগরিক হিসেবে। প্রতিটি শিশুই আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ও শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নত হবে এমনভাবেই বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, শিশুদের জন্য শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণে সরকার কাজ করছে। আজকের যারা শিশু তারা যেন আগামীতে সুন্দর, উন্নত, শান্তিপূর্ণ জীবন লাভ করে সেটাই আমাদের কাম্য। বাংলাদেশ হবে একটা উন্নত দেশ। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার স্মৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি দুস্থ মানবতার সেবায় কাজ করে যাবে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করে আগামী দিনে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা বিজয় অর্জন করেছি, আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবে বাঙালি যেন বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়, মর্যাদা নিয়ে যেন চলতে পারিÑ সেটাই আমরা চাই। যারা পুরস্কৃত হয়েছে তাদের সবার জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদেরও অভিবাদন জানান তিনি। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি হিসেবে বিশ্বদরবারে আমাদের একটা মর্যাদা আছে। এই পরিচয়টুকুও আমরা পেতাম না যদি না জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ সংগ্রাম, আন্দোলন করে মহান মুক্তিযুদ্ধ করে এই বিজয় আমাদের এনে না দিতেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে কাজ শুরু করেছিলেন সে কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধিতা করেছিল, হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর ছিল এবং যারা যুদ্ধাপরাধী ছিল এবং যাদের বিচার বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন তারাই ষড়যন্ত্র করে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ওই বাড়িতে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে।