শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি জনগণের আস্থার প্রতিফলন
গত ২২ ডসিম্বের অনুষ্ঠতি নারায়ণগঞ্জ সটিি র্কপােরশেন নর্বিাচনে নৌকা র্মাকার র্প্রাথী ডা. সলেনিা হায়াৎ আইভী ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট এবং তার নকিটতম প্রতদ্বিন্দ্বী ধানরে শীষ নয়িে বএিনপরি র্প্রাথী সাখাওয়াত হোসনে খান পয়েছেনে ৯৬ হাজার ৬৭৪ ভোট।
উত্তরণ প্রতিবেদন: অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনায় ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহলের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
গত ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কার প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৬৭৪ ভোট। এই নির্বাচনে মোট ভোটারের ৬২.৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান তার নিজ কেন্দ্রেও পাস করতে পারেন নি।
স্থানীয় সরকার পর্যায়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে নজির স্থাপনকারী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের এই নির্বাচনকে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচনের জন্য মডেল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেও প্রশংসিত হয়েছে নাসিক নির্বাচন। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণের যে নজির স্থাপিত হয়েছে, তাতে বিরোধী দল বিএনপিও এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছে।
ফল ঘোষণার আগে রিটার্নিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এই নির্বাচন স্মরণ রাখার মতো শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে (নাসিক) আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিজয়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ের প্রতি জনগণের আস্থার প্রতিফলন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিজয়কে জঙ্গি দমন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সাফল্যে জনগণের খুশির বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন তারা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রের প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ প্রভূত উন্নতি করেছে। বাংলাদেশ আজ নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত। জনগণই এই উন্নয়নের প্রধান অংশীদার। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে জনগণ সরকারের চলমান উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ
নির্বাচনে জয় লাভের পর গত ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ মহানগরের নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আইভী বলেন, আমি আপনার ¯েœহে সবসময় থাকতে চাই।
মতবিনিময় সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলীয় সরকারের অধীকে নির্বাচন যে সুষ্ঠু ও অবাধ করা যায়, আওয়ামী লীগ তা প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করেছে। জনগণ যাকে ভোট দিয়েছে তারাই জিতেছে। তিনি বলেন, পাঁচ সিটি নির্বাচনে তো তারা (বিএনপি) জিতেছে। আওয়ামী লীগ যদি ভোট কারচুপি করে, তা হলে তারা জয়ী হবে কী করে। জনগণ যাকে ম্যান্ডেট দিয়েছে আমরা মেনে নিয়েছি।
নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা এতদিন যে অভিযোগ করে আসছে তার উপযুক্ত জবাব নারায়ণগঞ্জবাসী দিয়ে দিয়েছে। সেখানে অত্যন্ত চমৎকার একটা নির্বাচন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচনে আমার একটাই নির্দেশ ছিল, নির্বাচনটা হতে হবে শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ। সাধারণ মানুষ ভোটটা যেন সঠিকভাবে দিতে পারে।
বিএনপির আমলে নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। ক্ষমতা সংবিধান দখল করে মার্শাল ল’ জারি করে রাষ্ট্রপতি সায়েম সাহেবকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিতে বাধ্য করেছিলেন। ক্ষমতায় এসে হ্যাঁ/না ভোট দিয়েছেন ১৯৭৮ সালে। এরপর ৭৯ সালে দিলেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ওই নির্বাচনে শতভাগের ওপর ভোট পড়েছে। এরপর এলো সংসদ নির্বাচন। সেটা ছিল ছক বাঁধা নির্বাচন। আওয়ামী লীগকে কয়টা সিট দেবে, সেটা ঠিক করেই এই নির্বাচন করে তারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে ভোট চুরি এত স্পষ্ট ছিল যে মানুষ প্রতিরোধ করল। আন্দোলনে নামল। ’৯৬ সালের ৩০ মার্চ ভোট চুরির দায়ে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। এই কথাটা মানুষ ভুলে যায় কেন?