গৌরবের বিজয়

শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস আজ

শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত হওয়ার পর উড়ানো হয় বিজয় পতাকা। সবাই মেতে ওঠে বিজয় উল্লাসে। তবে গণকবর আর বধ্যভূমি অরক্ষিতভাবে পড়ে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। ১৯৭১ সালের এই দিনে প্রথম মুক্তির স্বাদ পায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর উপজেলা।

শেরপুর
শেরপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ২৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাফর ইকবালের নেতৃত্বে শেরপুরের ঝিনাইগাতী বাজারে রাজাকারদের ক্যাম্প দখল করে মুক্তিযোদ্ধারা। এসময় অস্ত্রসহ ধরা পড়ে ৮জন পাকিস্তানের সেনা সদস্য। এরপর তাওয়াকুচা ক্যাম্প মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে। পরে তেসরা ডিসেম্বর পরাজয়ের আভাস পেয়ে পিছু হটতে থাকে পাকবাহিনী। রাতেই ক্যাম্প গুটিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরের দিন ঝিনাইগাতীকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করা হয়, বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে মুক্তিকামী জনতা। তবে সেদিনের সেই নৃশংস হত্যাকান্ডের চিহ্ন,গণকবর আর বধ্যভূমি এখনো অরক্ষিত। স্থানীয় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, সরকারিভাবে এসব স্মৃতিচিহ্ন গুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হোক।

জামালপুর
মুক্তিযুদ্ধের সময় জামালপুরের ১১ নম্বর সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও বীর উত্তম কর্নেল আবু তাহের। তার নেতৃত্বে ধানুয়া কামালপুরের র্দুভেদ্য পাকসেনাদের ঘাটি আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা। এসময় ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিনসহ মোট ১শ ৯৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। নিহত হয় ৪শ ৯৭জন পাকিস্তানি সেনা। পরে চৌঠা ডিসেম্বর গ্যারিসন অফিসার আহসান মালিকসহ পাকিস্তান বাহিনীর ১শ ৬২জনের একটি দল আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসর্মপণ করে। শত্রুমুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর। স্মৃতি জড়ানো সেই দিনগুলো শ্রদ্ধা ভরে নানা আয়োজনে পালন করেছে এসব এলাকার মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *