প্রতিবেদন

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন

গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় কৃতজ্ঞ বাঙালি গত ১৭ মার্চ পালন করল স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মদিন। একই সাথে পালিত হয়েছে জাতীয় শিশু দিবসও। এ উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতি ও মাজারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন, শিশু সমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, গ্রন্থমেলা, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।
বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে ভোর সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। রাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা দলীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান। সেখানে তিনি কিছু সময় অতিবাহিত করেন।
সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান। সেখানে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ফাতেহা পাঠ শেষে মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপতি মাজার প্রাঙ্গণে রাখা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এরপর সেখানে শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা, গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *