সৌদি আরব সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে : যুবরাজ তুর্কি বিন আবদুল্লাহ
সৌদি আরব সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ তুর্কি বিন আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ। গত ১২ জানুয়ারি বরগুনায় সৌদি অর্থায়নে স্কুল কাম সাইকোন সেন্টার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা ও বরগুনা থেকে একযোগে স্কুল কাম সাইকোন শেল্টার উদ্বোধন করা হয়। বরগুনা থেকে ঢাকায় ফিরে এক প্রেস কনফারেন্সে মুখোমুখি হন সৌদি যুবরাজ তুর্কি বিন আবদুল্লাহ। এ সময় তার সাথে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট আহমেদ মোহাম্মদ আলি আল মাদানিও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ কাজে অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্ট। তিনি জানান, এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন বেশ সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টসাপেক্ষ। কারণ উপকূলীয় নরম মাটিতে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে পারে এমন দৃঢ় স্থাপনা নির্মাণ সহজসাধ্য নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলমান প্রকল্পগুলোই ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করা হবে এবং সৌদি আরব সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে ছিল, থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে ফায়েল খায়ের কর্মসূচির ওপর ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। পরে প্রকল্পের পরিচালক সুফী মোশতাক আহমেদ জানান, বরগুনা জেলায় ২৭ সাইকোন সেন্টার কাম স্কুল নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে পুরো প্রকল্পে মোট ১৭৩ সেন্টার নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৬১টির কাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর কাজও দ্রুতই এগিয়ে চলছে। সব মিলিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ বলে তিনি জানান। এ ছাড়া ফায়েল খায়ের কর্মসূচির আওতায় কৃষি উপকরণ প্রদান কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের অর্থায়নে নির্মিত ‘স্কুল কাম সাইকোন শেল্টার’ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরগুনার আমতলীতে এই ‘স্কুল কাম সাইকোন শেল্টার’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব স্থাপনা শিক্ষার্থীদের কাজে লাগার পাশাপাশি দুর্যোগে এখানে নিরাপদ আশ্রয় পাবে। সৌদি আরবের সফররত যুবরাজ তুর্কি বিন আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) প্রেসিডেন্ট আহমেদ মোহাম্মদ আলি আল মাদানি আমতলীর স্কুলটিতে উপস্থিত ছিলেন।
কিং আবদুল্লাহ হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যান্ড চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের ‘ফায়েল খায়ের’ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ বাংলাদেশের সিডর বিধ্বস্ত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ‘স্কুল কাম সাইকোন শেল্টার’ নির্মাণে ১৩ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন।