বঙ্গবন্ধু শুধু একটি নামমুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা

স্বাধীনতা বিরোধী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (রাজাকার উত্তম) এর আমলনামা ১৯৭১ :

এখানে নীচে এ কীর্তিমান পুরুষের একটি রাজাকারনামা পেশ করা হলো। কুড়ি পৃষ্ঠার একটা পিডিএফ ফাইলে কম্পাইল করে রাখা হয়েছে তৎকালিন বিভিন্ন সংবাদ সূত্র হতে প্রাপ্ত স্বাধীনতা বিরোধী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী’র এক প্রকারের ৭১ নামচা। এই দলিল সংকলনে ইংরেজী বাংলা ও উর্দূতে বর্নিত রয়েছে ১৯৭১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি মতিউর রহমান নিজামীর বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ডের কিছু প্রামান্য খোজ খবর।

এই তথ্যগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায়, রাজনৈতিক ভাবে এই বাংলাদেশ বিরোধী মানুষরা আজো তাই বলে ও বিশ্বাস করে যা বলে ও বিশ্বাস করে এরা ১৯৭১ সালে কাপুরুষের মতো সহায়তা করেছিল পাকসেনাদের। পাকিস্তানী হত্যাকারীদের সাথে মিলে নিধন করেছিল তিরিশ লক্ষ বাঙালিকে।

ভাগ্যের এমনি পরিহাস, ৩৯ বছর পর উল্টো এরাই বাংলাদেশের কাছে জোর গলায় আজ বলে ওঠে, একাত্তরে কিসের আবাবার মুক্তি যুদ্ধ হয়ে ছিল! ওটাত ছিল ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে ভাংতে পাকিস্তানের সাথে ভারতের যুদ্ধ। যারা ভারতের হয়ে পাকিস্তানে গন্ডোগল পাকিয়েছে তারা হল ভারতের দালাল!

বন্ধুরা এ হায়নাদের আমরা কেন নিজ দেশে পেলে পুষে রাজাউজির বনতে দিই! এরা যে আস্তিনে লুকানো সাপ নিয়ে কেবল সুযোগের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে সে কথা ও স্পষ্ট হয়ে ওঠে বারংবার। আজ এদের বিচার আপনি আমি যদি না করি এক দিন এরাই ঘুরে দাড়িয়ে পাকিস্তান ভাঙ্গার অপরাধে আমাদের ফাঁসিতে ঝোবে।

শুনতে যত অলিকই শোনাক, ৩৯ বছরে এরা আমাদের অযোগ্যতার সুযোগে গোকুলে বাড়তে বাড়তে সে অবাস্তবকেই সত্য করবার পায়তারা করে গেছে, আজো করছে!

কেবল বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর আর হামিদুরদের হাড্ডিগুড্ডি স্বভূমে এনে পুনর্বার মাটি চাপা দিলেই ঋন শোধ হয়ে যায় না। যত দিন বাংলার মাটিতে বাংলাদেশের জন্ম না চাওয়া বেজন্মারা হেটে বেড়াবে ততদিন বাংলার কোলে ঘুমিয়ে থাকা শহীদের আত্নারা আমাদের লানৎ দেবে!

নিজ জীবনকে তুচ্ছ মেনে যারা তাঁদের বর্তমান উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন একদিন অগনিত আমদের সুন্দর আগামী’র জন্য; আমরা কি পারব সেই সব শহীদের সন্মান রাখতে? আমরা কি তাদের হত্যাকারীদের আইনের কাঠগড়ায় দাড়করাতে পারবো কোন দিন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *